বরিশাল অফিস : একের পর এক অটোপাসের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের ভবিষ্যৎ অনিশ্চিত হয়ে পড়ছে বলে মনে করছেন শিক্ষাবিদরা।
তারা বলছেন, এই ধারা অব্যাহত থাকলে শিক্ষার্থীদের মধ্যে পড়াশোনার আগ্রহ দিন দিন কমে যাবে। তাই নীতিনির্ধারকদের এখনই সময়োপযোগী পদক্ষেপ গ্রহণের দাবি উঠেছে।
মঙ্গলবার (২২ অক্টোবর) বরিশাল শিক্ষা বোর্ডের সামনে একদল শিক্ষার্থী এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষার ফল বাতিলের দাবিতে বিক্ষোভ করেছেন।
তাদের অভিযোগ, ছয়টি পরীক্ষা বাতিল করে ম্যাপিং পদ্ধতিতে যে ফল প্রকাশ করা হয়েছে, তা বৈষম্যপূর্ণ। শিক্ষার্থীরা অবিলম্বে নতুন পদ্ধতিতে ফলাফল প্রকাশের দাবি জানান।
করোনা মহামারীর কারণে ২০২০ সালের শেষের দিকে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো দীর্ঘদিন বন্ধ থাকে। ২০২১ সালে স্কুল-কলেজ খুললেও স্বাভাবিক পড়াশোনার পরিবেশ ফিরে আসেনি। সরকার তখন ‘অটোপাস’ পদ্ধতি চালু করে, যাতে শিক্ষার্থীরা পরীক্ষায় না বসেও উত্তীর্ণ হয়।
শিক্ষাবিদরা মনে করেন, এই অটোপাস পদ্ধতি শিক্ষার্থীদের মধ্যে পড়াশোনার গুরুত্ব কমিয়ে দিয়েছে। শিক্ষার্থীরা পড়াশোনা ছাড়াই পাস করছে, যা ভবিষ্যতে তাদের মানসম্মত শিক্ষা থেকে বঞ্চিত করছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, এই প্রক্রিয়ার কারণে মেধাবী শিক্ষার্থীরা সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে, আর কম মেধাবীরা সুযোগ নিচ্ছে।
শিক্ষক নেতা মহসীন উল ইসলাম হাবুল বলেন, অটোপাসের এই প্রক্রিয়া শিক্ষার্থী, অভিভাবক এবং শিক্ষকদের জন্য ভয়ংকর। শিক্ষার্থীরা পড়াশোনার মান হারাচ্ছে, এবং শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোর নিয়ন্ত্রণও কমে যাচ্ছে। এটি দ্রুত বন্ধ করা প্রয়োজন।
বরিশাল শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান প্রফেসর মো. ইউনুস আলী সিদ্দিকী জানান, বরিশাল বোর্ডের ফলাফল উন্নতি করেছে। তবে কিছু শিক্ষার্থী আন্দোলন করছে, যাদের দাবিগুলো নিয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের সাথে আলোচনা হবে।