অতিরিক্ত খাওয়ার অভ্যাস অনেকেরই স্বাস্থ্যের ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়ায়। মানসিক চাপ, একঘেয়েমি, বা অসচেতন অভ্যাস থেকে এটি শুরু হলেও দীর্ঘমেয়াদে এটি স্থূলতা, টাইপ ২ ডায়াবেটিস, এবং অন্যান্য বিপাকীয় রোগের ঝুঁকি বাড়াতে পারে। নিয়মিত সঠিক খাদ্যাভ্যাস এবং সচেতনতার মাধ্যমে এ সমস্যা সমাধান করা সম্ভব।
খাবার এড়িয়ে যাবেন না
দিনের কোনো খাবার, বিশেষত প্রাতঃরাশ এড়িয়ে যাওয়া উচিত নয়। দীর্ঘ সময় ক্ষুধার্ত থাকলে শরীর স্বাভাবিক অবস্থার চেয়ে বেশি খাওয়ার তাড়া দেয়। ফলে অতিরিক্ত খাওয়ার প্রবণতা তৈরি হয়। সময়মতো সুষম খাবার খাওয়ার অভ্যাস গড়ে তুলুন।
শরীরকে হাইড্রেটেড রাখুন
অনেক সময় তৃষ্ণাকে ক্ষুধা বলে ভুল করা হয়। শরীরের প্রতিদিন কমপক্ষে ২ লিটার পানি প্রয়োজন, যা খাবার হজমের প্রক্রিয়াকে সহজ করে। খাবারের আগে এক গ্লাস পানি পান করলে তৃষ্ণা মিটবে এবং অতিরিক্ত খাওয়ার প্রবণতা কমবে।
খাবারের প্রতি লোভ নিয়ন্ত্রণ করুন
আপনার যখন ক্ষুধা লাগে না, তবু কিছু খেতে ইচ্ছে করে, তখন নিজেকে সময় দিন। বিশ মিনিট অপেক্ষা করুন। যদি তখনও খাওয়ার ইচ্ছে থাকে, তাহলে বুঝবেন সত্যিই ক্ষুধার্ত। অন্যথায় এটি খাবারের প্রতি লোভ মাত্র। এভাবে নিজের খাওয়ার ইচ্ছাকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারবেন।
অতিরিক্ত খাওয়ার অভ্যাস ত্যাগ করতে ধৈর্য এবং সচেতনতা প্রয়োজন। সঠিক খাদ্যাভ্যাস, পর্যাপ্ত পানি পান, এবং নিয়ন্ত্রিত মানসিক চাপ এই অভ্যাস থেকে মুক্তি পেতে সাহায্য করবে।