প্রাকৃতিক ব্যাকটেরিয়া ল্যাকটিক অ্যাসিড তৈরি করতে শর্করা এবং স্টার্চ ভেঙে দেয়। এই প্রক্রিয়া শুধু খাবার সংরক্ষণ করে না, বরং উপকারী এনজাইম, ভিটামিন বি১২, ওমেগা-৩ ফ্যাট এবং ভালো ব্যাকটেরিয়ার সমারোহ যোগ করে। এগুলো অন্ত্রের মাইক্রোবায়োমের জন্য অত্যন্ত কার্যকর। জেনে নিন অন্ত্রের সুস্বাস্থ্য বজায় রাখতে সহায়ক ৫ প্রোবায়োটিক সমৃদ্ধ খাবারের তালিকা—
১. দই:
প্রোবায়োটিক খাবারের মধ্যে দই সবচেয়ে পরিচিত। ল্যাকটোব্যাসিলাস এবং বিফিডোব্যাকটেরিয়াম ব্যাকটেরিয়া দিয়ে দুধ গাঁজন করে এটি তৈরি করা হয়। ক্যালসিয়াম এবং প্রোটিনে ভরপুর দই সহজলভ্য এবং এটি দিয়ে বিভিন্ন ধরনের খাবারও তৈরি করা সম্ভব।
২. কিমচি:
কোরিয়ার জনপ্রিয় এই খাবারটি বাঁধাকপি এবং মূলা দিয়ে তৈরি একটি মসলাদার ফার্মেন্টেড ডিশ। এতে ল্যাকটিক অ্যাসিড ব্যাকটেরিয়া থাকে, যা অন্ত্রের জন্য দারুণ উপকারী। কিমচি কোরিয়ান খাবারের একটি প্রধান উপাদান হলেও এটি এখন বিশ্বব্যাপী জনপ্রিয়।
৩. পিকেল:
শসা যখন লবণ পানির ব্রাইনে ফার্মেন্টেড হয়, তখন এটি প্রোবায়োটিক সমৃদ্ধ পিকেলে পরিণত হয়। তবে ভিনেগার মিশ্রিত পিকেল প্রোবায়োটিক নয়। এই টক ও সুস্বাদু শসা খাবারে বাড়তি প্রোবায়োটিক পাঞ্চ যোগ করে।
৪. টেম্পেহ:
ফার্মেন্টেড সয়াবিন থেকে তৈরি এই প্রোটিনসমৃদ্ধ খাবারটি বাদামের বিকল্প হিসেবে বেশ কার্যকর। ফার্মেন্টেশন প্রক্রিয়াটি প্রোবায়োটিক যোগ করার পাশাপাশি পুষ্টির শোষণ বাড়িয়ে তোলে, যা নিরামিষাশীদের জন্য বিশেষভাবে উপকারী।
৫. ইডলি:
দক্ষিণ এশিয়ার এই জনপ্রিয় খাবারটি চাল ও ডাল মিশিয়ে তৈরি করা হয়। ফার্মেন্টেড ব্যাটারের কারণে ইডলি ও দোসা নরম এবং তুলতুলে হয়। এতে থাকা অন্ত্র-বান্ধব ব্যাকটেরিয়া হজমশক্তি উন্নত করে।