চন্দ্রদ্বীপ ডেস্ক: টানা ২৮ ম্যাচ অপরাজিত। গেল বছর আর্জেন্টিনা ও ব্রাজিলকে হারিয়ে দেয়া উরুগুয়েও ছাড় দিল না হামেস রদ্রিগেজের কলম্বিয়া। মার্সেলো বিয়েলসার দলটিকে বলা হচ্ছিল, এবারের কোপা আমেরিকার অন্যতম সেরা এক দল। ট্যাকটিক্সের কারণেই কিনা উরুগুয়ের পক্ষে বাজি ধরেছিলেন অনেকেই। কিন্তু নেস্তোর লরেঞ্জোর দলটা যেন রীতিমতো অপ্রতিরোধ্য।
লাতিনের খেলায় শিল্পের ছাপ হারিয়েছে বহু আগেই। সেই জায়গায় এখন এসেছে শরীরী ফুটবল। উরুগুয়ে এবং কলম্বিয়ার ম্যাচেও দেখা গেল তা। ৬ হলুদ কার্ড, ১ লাল কার্ড আর ২৪ ফাউলের ম্যাচের ফল নির্ধারণ করলেন জেফারসন লারমা। পুরো আসরে দারুণ ছন্দে থাকা এই মিডফিল্ডারের একমাত্র গোলে ২০২৪ কোপা আমেরিকার ফাইনালে কলম্বিয়া। যেখানে তাদের প্রতিপক্ষ লিওনেল মেসির আর্জেন্টিনা।
বাংলাদেশ সময় আগামী সোমবার মায়ামির হার্ড রক স্টেডিয়ামে এবারের কোপা আমেরিকার ফাইনালে খেলতে নামবে আর্জেন্টিনা ও কলম্বিয়া। এর আগে একবারই দুই দলের দেখা হয়েছিল কোপা আমেরিকার ফাইনালে। ১৯৯১ সালের সেই ফাইনালে ২-১ গোলে জয় নিয়ে ফেরে আর্জেন্টিনা।
ব্রাজিল এবং আর্জেন্টিনার উন্মাদনা ছাপিয়ে এবারের আসরে সবচেয়ে আলোচিত দুই দল ছিল কলম্বিয়া এবং উরুগুয়ে। দুই দলেরই সাম্প্রতিক রেকর্ড ছিল দুর্দান্ত। ১৯৬০ সালের পর থেকে একই বছরে আর্জেন্টিনা ও ব্রাজিলকে হারানো একমাত্র দল ছিল উরুগুয়ে। এবারের আসরেই তারা বিদায় করেছে ব্রাজিলকে। অন্যদিকে কলম্বিয়া গেল কয়েক বছর ধরেই আছে দারুণ ছন্দে। টানা ২৭ ম্যাচ হারের মুখ দেখেনি তারা।
নর্থ ক্যারোলিনায় তাই দারুণ এক ফুটবলের অপেক্ষায় ছিলেন ফুটবলের ভক্তরা। কিন্তু দুই দলের কারো খেলাতেই দেখা গেল না সুস্পষ্ট পরিকল্পনার ছাপ। কলম্বিয়া বরাবরই হামেস রদ্রিগেজ এবং লুইস দিয়াজের গতিশীল ফুটবলের ওপর নির্ভর করেছে। সেমির মঞ্চেও তারাই খেললেন হলুদ জার্সিতে।
বিপরীতে উরুগুয়ে খেলতে চেয়েছে বিয়েলসার চিরায়ত জোনাল মার্কিং সিস্টেমে। বল প্রতিপক্ষের পায়ে থাকলেই কড়া প্রেসিং করেছে। কিন্তু সেটা প্রেসিংয়ের তুলনায় ফাউলের জন্ম দিয়েছে বেশি। অবশ্য এরমাঝেও কলম্বিয়াই আধিপত্য দেখিয়েছে বেশি। ১৩ মিনিটে মুনোজ গোলের খুব কাছ থেকে ফিরে আসেন। ১৬ মিনিটে জেফারসন লারমার দুরপাল্লার শটও ভয় ধরিয়েছিল উরুগুয়ের বুকে।