শিরোনাম

অস্টিওপোরোসিস: ‘নীরব’ ঘাতকের ক্ষতি এবং প্রতিকার

Views: 17

চন্দ্রদ্বীপ ডেস্ক :: বর্তমানে অনেক মানুষ অস্টিওপোরোসিসে আক্রান্ত হচ্ছেন, যা হাড়ের খনিজ ঘনত্বের কমে যাওয়ার কারণে ঘটে। এর ফলে হাড়গুলো দুর্বল হয়ে পড়ে এবং ফ্র্যাকচারের সম্ভাবনা বাড়ে। নারী-পুরুষ উভয়েই এই সমস্যায় আক্রান্ত হতে পারেন।

ইন্টারন্যাশনাল অস্টিওপোরোসিস ফাউন্ডেশন (আইওএফ) গবেষণা করেছে এবং জানিয়েছে যে বিশ্বব্যাপী প্রায় ২০ কোটি মানুষ এই রোগে ভুগছেন। অস্টিওপোরোসিসকে ‘নীরব’ রোগ বলা হয় কারণ এটি সাধারণত কোনো লক্ষণ ছাড়াই বাড়তে থাকে এবং শুধুমাত্র ফ্র্যাকচার হলে এটি ধরা পড়ে। তাই এই সমস্যাকে গুরুত্বের সাথে মোকাবেলা করা জরুরি।

অস্টিওপোরোসিসের প্রধান ঝুঁকি হলো বয়সের বৃদ্ধি। বিশেষ করে মেনোপজের পর মহিলাদের মধ্যে এই রোগের ঝুঁকি বৃদ্ধি পায়। কারণ মেনোপজের সময়ে শরীরে ইস্ট্রোজেনের মাত্রা কমে যায়, যা হাড়ের ঘনত্ব বজায় রাখতে সহায়তা করে। এছাড়া পারিবারিক ইতিহাস, ক্যালসিয়াম এবং ভিটামিন ডি-এর অভাব, ধূমপান এবং অতিরিক্ত অ্যালকোহল পানও এ রোগের ঝুঁকি বাড়ায়।

এএম মেডিক্যাল সেন্টারের কনসালট্যান্ট অর্থোপেডিক সার্জন এবং মেডিক্যাল ডিরেক্টর ডাঃ অভিরূপ মৌলিক বলেন, “অনেকে জানেন না যে তারা অস্টিওপোরোসিসে আক্রান্ত যতদিন না তাদের ফ্র্যাকচার হচ্ছে। মেনোপজ-পরবর্তী মহিলারা বিশেষভাবে ঝুঁকিতে আছেন।”

হাড়ের স্বাস্থ্য রক্ষা করতে খাদ্য ও পরিপূরকের মাধ্যমে যথেষ্ট ক্যালসিয়াম এবং ভিটামিন ডি গ্রহণ করা উচিত। ক্যালসিয়াম সমৃদ্ধ খাবার যেমন দুগ্ধজাত দ্রব্য এবং শাকসবজি, এবং ভিটামিন ডি সমৃদ্ধ খাবার যেমন চর্বিযুক্ত মাছ এবং দুর্গযুক্ত খাবার অন্তর্ভুক্ত করা প্রয়োজন। নিয়মিত শারীরিক পরিশ্রম, বিশেষ করে ওজন বহনকারী এবং পেশী শক্তিশালী করার ব্যায়াম, হাড়ের ঘনত্ব বজায় রাখতে সহায়তা করে।

অস্টিওপোরোসিস নির্ণয়ের সবচেয়ে নির্ভরযোগ্য পদ্ধতি হলো হাড়ের খনিজ ঘনত্ব (বিএমডি) পরীক্ষা, যা সাধারণত ডেক্সা স্ক্যানের মাধ্যমে করা হয়। এটি সাধারণত উভয় নিতম্ব, কব্জি এবং এপি মেরুদণ্ডে পরীক্ষা করা হয়। ৬৫ বছরের বেশি বয়সী ব্যক্তি, মেনোপজ-পরবর্তী মহিলা, ক্যান্সার রোগী এবং দীর্ঘমেয়াদি স্টেরয়েড চিকিৎসা গ্রহণকারী ব্যক্তিদের এই রোগের ঝুঁকি বেশি।

image_pdfimage_print

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *