চন্দ্রদীপ ডেস্ক : বিশ্বকাপ থেকে আগেই বিদায় নিয়েছে বাংলাদেশ। শঙ্কা ছিল চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে খেলা নিয়ে। তবে শ্রীলঙ্কাকে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে খেলার সম্ভাবনা বাঁচিয়ে রাখে লাল-সবুজের প্রতিনিধিরা। চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে খেলতে বেশ কিছু সমীকরণ নিয়ে বিশ্বকাপে নিজের শেষ ম্যাচে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে মাঠে নামে বাংলাদেশ। আগে ব্যাট করে নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৮ উইকেট হারিয়ে ৩০৬ রানের বড় সংগ্রহ পেয়েছে লাল-সবুজের জার্সিধারীরা। দলে সর্বোচ্চ ৭৪ রান তাওহিদ হৃদয়ের।
টস হেরে পাওয়ারপ্লেতে বাংলাদেশকে উড়ন্ত শুরু এনে দিয়েছিলেন লিটন ও তানজিদ। একপর্যায়ে দলীয় ৭৬ রানে তানজিদের বিদায়ে ভাঙে এই উদ্বোধনী জুটি। শন অ্যাবটের শর্ট বলে তার কাছেই ক্যাচ দিয়েছেন তানজিদ। তার ইনিংস থামে ৩৪ বলে, ৩৬ রান করে। তার সঙ্গী লিটনও বেশিক্ষণ টিকলেন না। জাম্পার বলে উড়িয়ে মারতে গিয়ে উইকেট ছুঁড়ে দেন টাইগার এই ওপেনার। ৪৫ বলে পাঁচ চারে ৩৬ রান করেন লিটন। তার বিদায়ে ভাঙে ৩২ বল স্থায়ী ৩০ রানের জুটি।
লিটন ফেরার পর দলের হাল ধরেন অধিনায়ক শান্ত এবং তাওহিদ হৃদয়। সাকিব দলে না থাকায় এদিন ব্যাটিং অর্ডারে প্রমোশন পান হৃদয়। শান্তর সঙ্গে তার জুটিও অর্ধশতক পেরিয়ে যায়। তবে দুজনের দোষেই ভাঙল ৬৬ বল স্থায়ী ৬৩ রানের এই জুটি। অহেতুক এক রান আউটে কাঁটা পড়েন নাজমুল হোসেন শান্ত। ৫ রানের জন্য অর্ধশতক হল না তার।
শান্ত ফিরলেও দলের রানের গতি কমতে দেননি পাঁচে নামা মাহমুদউল্লাহ। ৩৩তম ওভারে ২০০ পেরোয় বাংলাদেশ। বাংলাদেশ একশ স্পর্শ করেছিল ষোড়শ ওভারে। তবে হৃদয়ের তাড়াহুড়োয় রান আউটে কাঁটা পড়েন দুর্দান্ত খেলতে থাকা মাহমুদউল্লাহ। ২৮ বলে ৩২ রান করে থেমেছেন তিনি। এরপর হৃদয়ের সঙ্গে জুটি গড়েন মুশফিক। এর মাঝেই আক্রমণাত্মক ব্যাটিংয়ে ৬১ বলে হাফ সেঞ্চুরি স্পর্শ করেন হৃদয়। এরপরই জাম্পাকে বড় শট খেলতে গিয়ে সাজঘরে ফেরেন মুশফিক। তার ব্যাট থেকে এসেছে ২৪ বলে ২১ রান। আজ বেশ আগ্রাসী ছিলেন তাওহিদ হৃদয়। তবে শেষ মুহূর্তে থামলেন হৃদয়। স্টয়নিসের ফুলটসে ছক্কা মারতে গিয়ে লাবুশেনেকে ক্যাচ দেন তিনি। ৭৯ বলে ৭৪ রান করে থামেন হৃদয়, সেঞ্চুরি থেকে বেশ দূরেই।
এরপর মিরাজের ব্যাটে তিনশ’ পেরোয় বাংলাদেশ। দলীয় ৩০৩ রানে ২০ বলে ২৯ রান করে আউট হন মিরাজ। শেষ পর্যন্ত ৫০ ওভার শেষে ৮ উইকেট হারিয়ে ৩০৬ রান সংগ্রহ করে বাংলাদেশ। দুটি করে উইকেট শিকার করেন শন অ্যাবট ও অ্যাডাম জ্যাম্পা। ১ উইকেট নেন মার্কাস স্টয়নিস।
বিশ্বকাপ শেষ নয়, তবে বিশ্বকাপে বাংলাদেশের শেষ মাচ আজ। আর শেষ ম্যাচেই কঠিন পরীক্ষা টাইগারদের। সেমিফাইনালের দৌঁড় থেকে ছিটকে গেলেও বাংলাদেশের কাছে এই ম্যাচ মানরক্ষার। এই ম্যাচের ওপরই নির্ভর করছে ২০২৫ আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে টাইগারদের খেলার আশা।