চন্দ্রদ্বীপ ডেস্ক : আর্জেন্টাইন গোলরক্ষককে ছাড়া খেলতে নেমে ঘরের মাঠে ৪-২ গোলে হেরেছে অ্যাস্টন ভিলা। হ্যাটট্রিক করেন মরক্কান ফরোয়ার্ড আইয়ুব এল কাবি তাতে উয়েফা কনফারেন্স লিগের ফাইনালের পথে একধাপ এগিয়ে গেল অলিম্পিয়াকোস।
বৃহস্পতিবার (২ মে) রাতে ভিলা পার্কে বল দখল থেকে আক্রমণ, সবদিকে এগিয়ে ছিল অ্যাস্টন ভিলা। ৬৬ শতাংশ সময় বল দখলে রেখে ১৭টি শট নিয়ে তারা ৭টি গোলমুখে রেখেছিল। বিপরীতে ৮ শট নিয়ে ৫টি লক্ষ্য বরাবর রেখেছিল অলিম্পিয়াকোস। বল দখল কিংবা আক্রমণে পিছিয়ে থাকলেও ম্যাচের ফলটা ভালোভাবেই নিজেদের করে নেয় অলিম্পিয়াকোস।
ভিলার প্রথম পছন্দের গোলরক্ষক মার্টিনেজের অনুপস্থিতি কাজে লাগিয়েছে গ্রিক ক্লাবটি। ম্যাচ শুরুর ১৬তম মিনিটেই দলকে লিড এনে দেন মরক্কান ফরোয়ার্ড আইয়ুব এল কাবি। স্বাগতিকদের অফসাইড ফাঁদ এড়িয়ে চিকিনহোর পাস দখলে নিয়ে ডানপ্রান্ত ধরে বক্সে ঢুকে পড়েন কাবি। এরপর জোরালো শটে পরাস্ত করেন মার্টিনেজের অনুপস্থিতিতে ভিলার গোলবারের দায়িত্ব পাওয়া রবিন ওলসেনকে। ১১ মিনিট পর ব্যবধান দ্বিগুণ করেন কাবি। আবারও অফসাইড ফাঁদ এড়িয়ে পোডেন্সের আলতো ক্রস দখলে নিয়ে ওয়ান অন ওয়ান পজিশনে ওলসেনকে পরাস্ত করেন মরক্কান ফরোয়ার্ড।
প্রথমার্ধের যোগ করা সময়ে ঘরের মাঠের সমর্থকদের হতাশা কিছুটা দূরে করেন ওলি ওয়াটকিন্স। দিয়াবাইয়ের পাস দুই ডিফেন্ডারকে ফাঁকি দিয়ে বক্সে দখলে নেন ওয়াটকিন্স। এরপর নিঁখুত শটে পরাস্ত করেন অলিম্পিয়াকোসের গোলরক্ষককে। বিরতির পর অ্যাস্টন ভিলা শিবিরে স্বস্তি ফেরান দিয়াবাই। ৫২তম মিনিটে বেইলির পাস বক্সে দখলে নিয়ে কোনাকুনি শটে তিনি জড়ান অলিম্পিয়াকোসের জালে। সমতায় ফেরে স্বাগতিকরা। তবে ঘরের মাঠের সমর্থকদের খুব বেশিক্ষণ স্বস্তিতে রাখতে পারেননি দিয়াবাই-ওয়াটকিন্সরা।
সমতায় ফেরার ৪ মিনিট পরই আবার পেনাল্টি গোলে পিছিয়ে যায় অ্যাস্টন ভিলা। সফল স্পটকিকে হ্যাটট্রিক তুলে নেন কাবি। এ সময়টা হয়তো ভিলার সমর্থকরা মনে মনে মার্টিনেজকে কল্পনা করছিলেন। কারণ এ আর্জেন্টাইন গোলরক্ষকের পেনাল্টিতে গোল সেভ দেয়ার দারুণ দক্ষতা আছে। কোয়ার্টার ফাইনালের তার গোলকিপিং নৈপুণ্যেই তো টাইব্রেকারে জিতে সেমিফাইনাল খেলছে ভিলা। ওলসেন আরেকবার মার্টিনেজের কথা মনে করিয়ে দেন ৬৭তম মিনিটে। যখন সান্তিয়াগো হেজ্জের ডি-বক্সের বাইরে থেকে নেয়া শট, দলের এক ডিফেন্ডারের শরীর স্পর্শ করে তার হাতে লেগে জালে জড়ায়। মার্টিনেজ থাকলে হয়তো বলটি ক্লিয়ার করতে পারতেন।
ভিলা শিবিরে দুঃখ বাড়ান ডগলাস লুইজ। ৮৩তম মিনিটে পেনাল্টি নিতে এসে বল পাঠান জালের বাইরে। শেষ পর্যন্ত আর সুযোগ পাওয়া হয়নি স্বাগতিকদের। ৪-২ গোলের হার নিয়ে শেষ করতে হয়েছে প্রথম লেগ। দ্বিতীয় লেগে প্রতিপক্ষের ঘরের মাঠে অবিশ্বাস্য কিছু করতে না পারলে ফাইনাল খেলবে অলিম্পিয়াকোসই।
প্রতিযোগিতার আরেক ম্যাচে ক্লাব ব্রুগকে ৩-২ গোলে হারিয়েছে ফিওরেন্তিনা। হারের ব্যবধানটা খুব বেশি না হওয়ায় পরের লেগে ঘরের মাঠে ঘুরে দাঁড়ানোর সুযোগ ক্লাব ব্রুগের সামনে।