২০২৩ সালে মেয়েদের বর্ষসেরা উদীয়মান বা আইসিসি ইমার্জিং ক্রিকেটারের দৌড়ে ছিলেন— অস্ট্রেলিয়ার লিচফিল্ড, বাংলাদেশের মারুফা, ইংল্যান্ডের পেসার লরেন বেল ও স্কটল্যান্ড অলরাউন্ডার ডার্সি কার্টার। তবে দারুণ ব্যাটিং ফর্ম দেখানো লিচফিল্ড গত বছরজুড়ে নিজের সামর্থ্য দেখিয়েছেন। ২০ বছর বয়সী এই তারকা গত বছর টেস্টে ২১.৭৫ গড়ে করেছেন ৮৭ রান। ওয়ানডেতে ৪৯.১৪ গড়ে ৩৪৪ ও টি-টোয়েন্টিতে ৮৮ রান করেছেন ৮৮ গড়ে।
এদিকে, ওই বছরই অভিষেক হওয়া টাইগ্রেস পেসার মারুফা মেয়েদের ওয়ানডেতে বাংলাদেশিদের মধ্যে ছিলেন তৃতীয় সর্বোচ্চ উইকেটশিকারি। ৯ ম্যাচে নেন ১০ উইকেট। এছাড়া ১৪ টি-টোয়েন্টিতে ১০ উইকেট শিকার করেন।
অন্যদিকে, সর্বশেষ ছেলেদের বিশ্বকাপে বাড়তি নজর কাড়েন কিউই অলরাউন্ডার রাচিন। পুরো বছরই তিনি কাটিয়েছেন স্বপ্নের মতো। যার ফলে উদীয়মান ক্রিকেটার হওয়ার দৌড়ে তিনি পেছনে ফেলেছেন দক্ষিণ আফ্রিকার জেরাল্ড কোয়েটজি, শ্রীলঙ্কান পেসার দিলশান মাদুশাঙ্কা ও ভারতের ব্যাটার যশস্বী জয়সওয়ালকে। ২৪ বছর বয়সী রাচিন সবমিলিয়ে ২০২৩ সালে ৪১ ম্যাচে ১০৮.০৩ স্ট্রাইকরেটে রান করেছেন ৮২০। এছাড়া ৪৬.৬১ গড়ে ওভারপ্রতি ৬.০২ রান দিয়ে নিয়েছেন ১৮ উইকেট।
এছাড়া টি-টোয়েন্টিতে ১২ ম্যাচ খেলে রাচিন ১৮.২০ গড়ে ১৩৩.৮২ স্ট্রাইকরেটে করেন ৯১ রান। সঙ্গে ওভারপ্রতি ৯.১১ রান দিয়ে ৩২.৮০ গড়ে পেয়েছেন ৫টি উইকেট। প্রথমবার বর্ষসেরা উদীয়মান ক্রিকেটার হওয়ার প্রতিক্রিয়ায় এই কিউই তারকা জানান, ‘এটা বিশেষ অনুভূতি। যখন আপনি আইসিসির কোনো স্বীকৃতি পাবেন সেটা অবশ্যই বিশেষ কিছু। গত বছরটা খুব সুন্দর ছিল এবং বিভিন্ন পরিবেশে এত বেশি ক্রিকেট খেলার সুযোগ পাওয়াও বিশেষ কিছু।’