শিরোনাম

আউলিয়াপুর আদর্শ বিদ্যালয়ের সভাপতি ও প্রধান শিক্ষক তুলে নিলেন ৬ লক্ষ টাকা

Views: 26

মো: আল-আমিন (পটুয়াখালী): সদর উপজেলায় আউলিয়াপুর আদর্শ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের তহবিল থেকে ৬ লক্ষ টাকা লোপাটের অভিযোগ উঠেছে বিদ্যালয়টির পরিচালনা পরিষদের সভাপতি ও প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে।

আজ বুধবার দুপুরে পটুয়াখালী প্রেসক্লাবে আয়োজিত সংবাদ সম্মলেন দাতা ও কার্যনির্বাহী কমিটির সদ্য সাবেক সদস্য মোঃ হাসান এ অভিযোগ করেন।

লিখিত অভিযোগের মাধ্যমে হাসান সাংবাদিকদের জানান, তারা পরিচালনা পরিষদে থাকা অবস্থায় বিদ্যালয়ের প্রতিভূ উন্নয়ন হয়েছে। বিগত দিনগুলোতে বিদ্যালয়ের আয়কৃত সমস্ত অর্থ বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের একটি কমিটি গঠন করে বার্ষিক বাজেট প্রনয়নের মাধ্যমে খরচ করা হয়েছে। বিদ্যালয় থেকে যে টাকা উদ্বৃত্ত রয়েছে তা বিদ্যালয়ের রুপালি ব্যাংকের হিসাব নম্বর-৯৮৮০ নিউ টাউন শাখায় জমা করা হয়েছে। বর্তমান এডহক কমিটি গঠনের পর গত ফেব্রুয়ারি মাসের ১৬ তারিখ বিদ্যালয়ের এসএসসি ফরম ফিলাপ, ভর্তি ফি, পূণ:ভর্তিফিসহ অন্যান্য আয়ের দুই লক্ষ টাকা দায়িত্বপ্রাপ্ত শিক্ষকরা ব্যাংকে জমা করে দেন। তখন ব্যাংকে বিদ্যালয়ের তহবিলে মোট জমা ছিলো ৩ লাখ ৪৪ হাজার ৯৪৩ টাকা ১৩ পয়সা।

কিন্তু ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি গোলাম সরোয়ার বাদল ও প্রধান শিক্ষক আব্দুর রাজ্জাক মিলে একই দিনে ওই দুই লক্ষ টাকা ব্যাংকে রিভার্স দেখিয়ে জনৈক আবু জাফর মো: সালেহ এর নামে স্থায়ী দাতা হিসেবে জমা প্রদান করেন।

কোন নিয়ম নীতির তোয়াক্কা না করে সভাপতি ও প্রধান শিক্ষক মাত্র ৭ দিন পর ২৩ ফ্রেব্রুয়ারি চেক নং-৯৮৯৪৭৪৯ এর মাধ্যমে প্রথমে দুই লাখ এবং চেক নং-৯৮৯৪৭৫০ এর মাধ্যমে একই দিনে আরো ৩০ হাজার টাকা উত্তোলন করেন। পরবর্তীতে বিদ্যালয়ের তহবিল থেকে ১৪ মার্চ ২০২৩ ইং চেক নং-১৭৮১৯১ এর মাধ্যমে আবারো ৫০ হাজার টাকা উত্তোলন করেন। এরপর ১৬ এপ্রিল ২০২৩ ইং তারিখ এডহক কমিটির সভাপতি জনাব গোলাম সরোয়ার বাদলের নামে স্থায়ী দাতা হিসেবে দুই লক্ষ টাকা জমা করা হয়। তার একদিন পর চেক নং-১৭৮১৯২ এর মাধ্যমে জমাকৃত দুই লক্ষ টাকা তুলে নেন সভাপতি ও প্রধান শিক্ষক। পরবর্তীতে মে ২০২৩ ইং তারিখ আরো ২০ হাজার টাকা একাউন্ট থেকে তুলে নেন সভাপতি ও প্রধান শিক্ষক। সভাপতি ও প্রধান শিক্ষক মিলে বিদ্যালয়ের কোন দৃশ্যমান কাজ না করে ৬ লাখ ১২ হাজার টাকা লোপাট করেন।

সংবাদ সম্মেলনে বিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা পরিবারের সদস্য মোঃ বাদশা মৃধা, অভিভাবক কাজী রিপন, মোকছেদুল সহ আরো অনেকে উপস্থিত ছিলেন।

এবিষয়ে অভিযুক্ত প্রধান শিক্ষক আব্দুর রাজ্জাক গনমাধ্যমকে জানান, এসব অভিযোগ মিথ্যা বানোয়াট। বিদ্যালয়ে সকল ডকুমেন্টস সংরক্ষিত রয়েছে।

এ বিষয়ে ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি গোলাম সরোয়ার বাদলের মুঠোফোনে একাধিকবার কল করা হলেও তিনি কল রিসিভ না করায় বক্তব্য জানা যায়নি।

image_pdfimage_print

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *