চন্দ্রদ্বীপ ডেস্ক :: জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমানের মতে, আওয়ামী লীগ তো নির্বচন চায় না। তাদের ওপর নির্বাচন চাপিয়ে দিলেতো সেটা জুলুম হবে; একটা বৈষম্য হবে।
বুধবার (৯ অক্টোবর) দুপুর ১২টায় গুলশানের হোটেল ওয়েস্টিনে ‘রাষ্ট্র সংস্কারের প্রস্তাবনা’য় সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব দেন তিনি।
জামায়াত আমির বলেন, ‘আওয়ামী লীগ নির্বাচনে আসুক, আমরা চাই কি না — এমন প্রশ্ন এসেছে। তারা কি নির্বাচন করেছিলো, না। তারা ক্ষমতায় থাকতে চেয়েছিলো? তারা নির্বাচন চায়নি। এজন্য রাতের অন্ধকারে ভোট করেছিল পুলিশ আর প্রশাসন দিয়ে। যারা নির্বাচন চায় না, তাদের ওপর নির্বাচন চাপায়ে দিলেতো জুলুম হবে। এটাও একটা বৈষম্য হবে।’
আগে নির্বাচন, না আগে সংস্কার — এমন প্রশ্নে জামায়াত আমির বলেন, দুটি রোডম্যাপ হবে। একটা সংস্কারের আর একটা নির্বাচনের। তবে সময় যেনো অতি দীর্ঘ না হয়, আবার অতি সংক্ষিপ্ত না হয়। দেশে অনেক রাজনৈতিক দল আছে। একটি বর্ণাঢ্য সংসদের জন্য জনগণের কোন ব্যাক্তিকে না ভোট দিতে হবে দলকে।
১৯৭২ সালে যে সংবিধান রচিত হয়েছিলো তা ভারতে বসে রচিত হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, এটি বাংলাদেশে বসেও রচনা করা যেতো। জন্মভূমি হিসেবে সংবিধান বাংলাদেশের ভূখণ্ড পায়নি।
ডা. শফিকুর রহমান বলেন, ‘আমরা লক্ষ্য করলাম মুজিব সাহেব থাকা অবস্থায় পার্লামেন্টে ৭ মিনিটের বক্তব্যের পর বাকশাল কায়েম হলো। আমাদের সংবিধান যেনো মতলবি সংবিধান না হয়। শুধু নির্বাচন নয়, সমগ্রিক সমাজ কাঠামো ধরে সংবিধান হতে হবে।
অনুষ্ঠানে জামায়াত আমির বলেন, গণহত্যায় জড়িত যারা পালিয়ে গেছে, তাদের ফিরিয়ে এনে বিচার নিশ্চিত করতে হবে।