বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছেন, আওয়ামী লীগ এবং গণতন্ত্র একসঙ্গে কখনই চলতে পারে না। তিনি বলেন, গণতন্ত্রের পক্ষের সকল শক্তিকে সতর্ক থাকতে হবে এবং দেশের চলমান গণতান্ত্রিক প্রকৃতি যাতে বাধাগ্রস্ত না হয়, সে জন্য সকলকে একযোগভাবে কাজ করতে হবে।
তারেক রহমান দাবি করেন, বর্তমান সরকার গণতন্ত্রকে ধ্বংস করতে নানান ষড়যন্ত্র করছে, তবে বিএনপির কাছে গণতন্ত্র, বাকস্বাধীনতা, ব্যক্তি স্বাধীনতা ও সংবাদপত্রের স্বাধীনতা নিরাপদ। তিনি বলেন, দেশের গণতান্ত্রিক যাত্রাকে বাধাগ্রস্ত করতে কিছু অপশক্তি উঠে পড়েছে, যারা দেশের ভিতরে এবং বাইরে থেকে গণতন্ত্রের বিরুদ্ধে কাজ করছে। তিনি আরও বলেন, বিতাড়িত অপশক্তি ও তাদের সহযোগীরা বাংলাদেশের রাজনীতিতে আর কখনই জায়গা পাবেন না।
তিনি বলেন, “গণতন্ত্রের সংস্কার একটি চলমান প্রক্রিয়া এবং এ প্রক্রিয়া কখনও শেষ হয় না। তবে আমাদের সকলের মনে রাখা উচিত, গণতান্ত্রিক সংস্কৃতির গুণগত উন্নতি ছাড়া কোনো প্রক্রিয়াই কার্যকর হতে পারে না।” তারেক রহমান এই কথা বলেন আজ সোমবার, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের (ডিইউজে) বার্ষিক সাধারণ সভায় ভার্চুয়ালি প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তৃতা দেওয়ার সময়।
তারেক রহমান আরও বলেন, “স্বৈরাচারের বিরুদ্ধে জুলাই-আগস্টের গণঅভ্যুত্থানে কমপক্ষে ছয়জন সাংবাদিক শহীদ হয়েছেন এবং প্রায় ৪০০ বিএনপি নেতাকর্মী এই লড়াইয়ে নিহত হয়েছেন।” তিনি উল্লেখ করেন, স্বৈরাচারী সরকারের সময়ে গণমাধ্যমে বস্তুনিষ্ঠতা হারিয়ে গিয়েছিল, যা গণতন্ত্রের জন্য ক্ষতিকর ছিল।
তিনি বলেন, “দেশে এখন নানা ষড়যন্ত্র চলছে, যেখানে গণতন্ত্রের শত্রুরা বিভিন্ন কৌশলে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করছে। তবে আমরা সতর্ক থাকলে এসব ষড়যন্ত্র সফল হতে দেবে না।”
তারেক রহমান আরো বলেন, “আওয়ামী লীগকে ভোটের মাধ্যমে বিদায় করা হবে, আইনগত এবং রাজনৈতিক পদক্ষেপের মাধ্যমে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।” তিনি সরকারের বিরুদ্ধে সংগ্রাম চালিয়ে যেতে এবং জনগণের অধিকার রক্ষার জন্য সকলকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানান।
তিনি জানান, ২০২২ সালে বিএনপি ২৭ দফা সংস্কার প্রস্তাব দিয়েছিল, পরে ২০২৩ সালে ৩১ দফা সংস্কার প্রস্তাব উপস্থাপন করে। এসব প্রস্তাবে গণমাধ্যমের স্বাধীনতা নিশ্চিত করার জন্য একটি মিডিয়া কমিশন গঠন করার সুপারিশ করা হয়েছিল।
তারেক রহমান বলেন, “আমরা এমন একটি রাষ্ট্র নির্মাণ করতে চাই যেখানে মানুষের বাক ও ব্যক্তিস্বাধীনতা নিশ্চিত থাকবে। এজন্য সকলের সহযোগিতা প্রয়োজন।”
মো: তুহিন হোসেন
স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, চন্দ্রদ্বীপ নিউজ ২৪ ডট কম