বরিশাল অফিস: কলেজ পড়–য়া ছাত্র। তাগড়া যুবক। এই বয়সে বিশেষ কিছু বৈশিষ্টের মধ্যে অন্যতম প্রধান বৈশিষ্ট হচ্ছে অকুতোভয় নামক শব্দটি। যে বৈশিষ্টটি অসাধ্যকে সাধন ও অজয় কে জয় করার দীপ্ত স্পৃহা জাগিয়ে তোলে। সেই স্পৃহার টানেই দেশ মাতৃকার ডাকে সাড়া দিয়ে অংশ নিয়েছিলেন মহান মুক্তিযুদ্ধে। বুকে দেশপ্রেম ধারন করে বীর দর্পে মোকাবেলা করেছেন পাক হানাদার বাহিনীর। কিন্তু দূর্ভাগ্য বিজয়ের স্বাদ অনুভব করতে দেয়নি সৃষ্টিকর্তা। যুদ্ধ তথা দেশ বিজয়ের মাত্র ২০ দিন পূর্বে শত্রুদের বুলেটে নিভে যায় দেশ মাতৃকার বীর সেনানী শহীদ মুক্তিযোদ্ধা বানারীপাড়ার কাজী মতিয়ার রহমানের জীবন প্রদীপ।
১৯৭১ সালের ২৬ নভেম্বর রাতে পিরোজপুর জেলার স্বরুপকাঠি উপজেলার ছারছিনায় আলবদরদের ঘাটিতে আক্রমন চালাতে গেলে শত্রুদের বুলেটে মৃত্যু ঘটে তার। আজ বানারীপাড়ার গর্ব ও অহংকারের প্রতীক জাতির বীর সন্তান শহীদ মুক্তিযোদ্ধা কাজী মতিয়ার রহমানের ৫২ তম শাহাদাত বার্ষিকী। বরিশাল জেলা পরিষদের তৎকালীন সদস্য কাজী মোশারেফ হোসেন এর কনিষ্ট পুত্র কাজী মতিয়ার তখন শের-ই-বাংলা এ কে ফজলুল হকের প্রতিষ্ঠিত বানারীপাড়ার চাখার ফজলুল হক কলেজের ঘাতক শ্রেণীর ছাত্র এবং ছাত্রলীগের প্রথম সারির নেতা ছিলেন। বঙ্গবন্ধুর দেশ স্বাধীনের ডাকে সাড়া দিয়ে নেমে পড়েন রনাঙ্গনে।
তার স্মৃতি চারন করে বরিশাল জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাংগঠনিক সম্পাদক মুক্তিযোদ্ধা এনায়েত হোসেন চৌধুরী বলেন, মতিয়ার ছিলো অকুতভয়ী অসীম সাহসী এক যোদ্ধা। যুদ্ধের শেষ ভাগে ভারত থেকে উচ্চতর প্রশিক্ষন নিয়ে নৌকা যোগে স্বরুপকাঠি ফিরছিলেন। এসময় জানতে পারেন ছারছিনা পীরের বাড়িতে রাজাকারদের একটি ঘাটি রয়েছে। তিনি মুহুর্তেই কয়েকজন মুক্তিযোদ্ধা নিয়ে ওই ঘাটিতে আক্রমন করেন। কিন্তু দূর্ভাগ্যবসত শত্রুদের গুলিতে মৃত্যু ঘটে তার। কিন্তু তার লাশ আর পাওয়া যায়নি।
তিনি ৯ নং সেক্টরের মেজর জলিলের অধীনে যুদ্ধরত ছিলেন। শহীদ মুক্তিযোদ্ধা কাজী মতিয়ার রহমানের ভাইয়ের ছেলে কাজী এনায়েত করিম ইনু বলেন শাহাদাত বার্ষিকী উপলক্ষে গ্রামের বাড়ি বানারীপাড়ার জামে কেরামতিয়া জামে মসজিদে বাদ আছর দোয়া মিলাদের আয়োজন করা হয়। ৩ ভাই ও ৩ বোনের মধ্যে মতিয়ার ছিলেন সবার ছোট। অন্য দুই ভাইও ইতিমধ্যে মৃত্যু বরন করেছেন। তবে ২ বোন জীবিত রয়েছেন। উল্লেখ্য, বীর মুক্তিযোদ্ধা শহীদ কাজী মতিয়ার রহমান শহীদ আবদুর রব সেরনিয়াবাত বরিশাল প্রেসক্লাবের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও দৈনিক আজকের পরিবর্তন পত্রিকার প্রকাশক-সম্পাদক কাজী মিরাজের ছোট মামা