পটুয়াখালীর দশমিনার সেই যুবক মো. সাইদুল ইসলাম, যিনি আন্দোলনে চোখ হারানোর পর মানবেতর জীবনযাপন করছিলেন, সম্প্রতি একটি ব্যাটারিচালিত রিকশা উপহার পেয়েছেন। জীবনের এই নতুন অধ্যায় তাকে আশার আলো দেখিয়েছে।
জুলাই মাসের ছাত্র-জনতার বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ঢাকার যাত্রাবাড়ীতে গুলির আঘাতে সাইদুলের বাম চোখ পুরোপুরি নষ্ট হয়ে যায়। এতে তার জীবনের দুঃখ-দুর্দশা চরমে পৌঁছায়। ঘটনার পর তার স্ত্রী পান্না আক্তার তাকে তালাক দিয়ে দেড় বছরের সন্তানসহ বাড়ি ছেড়ে চলে যান। এ অবস্থায় সাইদুল পটুয়াখালীর বাঁশবাড়িয়া গ্রামে ফিরে যান এবং অভাব-অনটনের মুখোমুখি হন।
সংবাদমাধ্যমে সাইদুলের কষ্টের কাহিনি প্রকাশিত হলে ঢাকার কয়েকজন হৃদয়বান মানুষ এগিয়ে আসেন। তাদের আর্থিক সহায়তায় সাইদুলের জন্য একটি ব্যাটারিচালিত রিকশা কেনা হয়। সোমবার পটুয়াখালী প্রেস ক্লাবে ভারপ্রাপ্ত সভাপতি সোহরাব হোসেন রিকশাটি সাইদুলের হাতে তুলে দেন।
রিকশা পাওয়ার পর সাইদুল বলেন, “আমি কৃতজ্ঞ। যেসব হৃদয়বান ব্যক্তি আমাকে এই রিকশা দিয়েছেন, তাদের প্রতি অশেষ ধন্যবাদ। সাংবাদিকরা আমার কথা তুলে ধরেছেন বলেই আমি আজ নতুন জীবনের সুযোগ পেয়েছি। এখন এই রিকশা চালিয়ে আমি জীবিকা নির্বাহ করতে পারব।”
আন্দোলনের সময় ঢাকায় ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা চালিয়েই জীবিকা নির্বাহ করতেন সাইদুল। কিন্তু চোখ হারিয়ে অসহায় হয়ে পড়েন। নতুন রিকশাটি তার জীবন সংগ্রামের পথ আরও সুগম করবে বলে আশা করছেন তিনি।
মো: আল-আমিন
স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, চন্দ্রদ্বীপ নিউজ ২৪ ডট কম