শিরোনাম

আবারও কুয়াকাটা সৈকতে ভেসে এলো মৃত ডলফিন

Views: 70

পটুয়াখালী প্রতিনিধি :: পটুয়াখালীর কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকতে আবারও ৮ ফুট লম্বা একটি মৃত ইরাবতী ডলফিন ভেসে এসেছে। এর পুরো মাথার অংশে আঘাতের চিহ্নসহ শরীরের বেশ কিছু স্থানে চামড়া উঠানো।

মঙ্গলবার বিকালে কুয়াকাটা সৈকতের পূর্ব দিকে ঝাউবন এলাকায় ডলফিনটি দেখতে পান স্থানীয় জুয়েল রানা নামের এক যুবক।

তিনি জানান, বিকালে সৈকত থেকে পূর্বদিকে ঝাউবনের দিকে যাওয়ার পথে ডলফিনটি জোয়ারের পানিতে ভেসে আসতে দেখে ডলফিন রক্ষা কমিটিকে অবহিত করি। তবে এই ডলফিনটি মারা যাওয়া অন্যগুলোর চেয়ে অনেকটা তাজা ছিল। দেখে মনে হচ্ছিল এটির মৃত্যু অল্প সময় হয়েছে।

উপকূল কুয়াকাটায় ডলফিন রক্ষা কমিটি সূত্র জানায়, চলতি বছরে জীবিত দুটি এবং মৃত ৮টি ডলফিনের দেখা মিলেছে। এর আগের বছর মোট ১৫টি মৃত ডলফিন ভেসে এসেছে কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকতে।

আরো পড়ুন : মির্জাগঞ্জে বিয়ের দাবিতে প্রেমিকের বাড়িতে অবস্থান তরুণীর -আত্মহত্যার হুমকি

কুয়াকাটা ডলফিন রক্ষা কমিটির টিম লিডার রুমান ইমতিয়াজ তুষার জানান, বঙ্গোপসাগরের সমুদ্র উপকূলের নিকটে ও নদী মোহনাতে এবং নদীতে এদের বিচ্ছিন্নভাবে দেখা যায়। খবর পাওয়ার সাথে সাথে পরিদর্শন শেষে বনবিভাগ ও ব্লু-গার্ডের সদস্যদের খবর দিচ্ছি। আমরা সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন সংস্থার সঙ্গে যোগাযোগ করেও ডলফিন মারা যাওয়ার কারণ নিশ্চিত হতে পারছি না। যে পরিমাণে ডলফিন আসছে তা সমুদ্র ও পরিবেশের জন্য অদূর ভবিষ্যতে হুমকি হয়ে দাঁড়াবে। কুয়াকাটায় যদি এই পরিমাণ মৃত ডলফিন ভেসে আসে তবে উপকূলজুড়ে যেখানে লোক সমাগম নেই সে-সব স্থানের অবস্থা কেমন সেই তথ্য আমাদের জানা নেই। বিষয়টি খুবই উদ্বেগজনক।

সমুদ্রের নীল অর্থনীতি, উপকূলের পরিবেশ-প্রতিবেশ এবং জীববৈচিত্র্য নিয়ে কাজ করা গবেষণা প্রতিষ্ঠান (ওয়ার্ল্ডফিশের ইকোফিশ-২) বাংলাদেশ প্রকল্পের সহযোগী গবেষক সাগরিকা স্মৃতি বলেন, বেশ কয়েকদিন ধরে যে পরিমাণ জীবিত ও মৃত ডলফিন আসছে তাতে মনে হচ্ছে সমুদ্র তার আগের পরিবেশ হারাচ্ছে। আমরা এদের মৃত্যুর সঠিক কারণ অনুসন্ধানে কাজ করছি। তবে মৃত্যুর সঠিক কারণ নিশ্চিত হতে পারলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা যায়। এভাবে চলতে থাকলে সমুদ্রের জীববৈচিত্র্য হুমকির মুখে পড়বে, যা আমাদের জন্য মোটেও কল্যাণকর নয়।

পটুয়াখালী বনবিভাগ মহিপুর রেঞ্জ কর্মকর্তা আবুল কালাম জানান, খবর পেয়ে আমাদের বনবিভাগের সদস্যদের পাঠিয়ে দ্রুত মাটিচাপা দেওয়ার ব্যবস্থা করেছি।

image_pdfimage_print

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *