বরগুনার আমতলীর আজিমপুর বাজারে আদালতের আদেশ অমান্য করে ১০ জানুয়ারী একটি ঘর উত্তোলনকে কেন্দ্র করে এলাকায় উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী পরিবার সংবাদ সম্মেলন করে তাদের ওপর হওয়া অবিচারের প্রতিবাদ জানিয়েছেন।
জানা যায়, আজিমপুর বাজারের কুকুয়া মৌজার মধ্যে অবস্থিত ২২ শতক জমি নিয়ে স্থানীয় এছহাক মীর গং ও ইউনুছ খান গংদের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলছিল। একাধিকবার শালিস এবং স্থানীয়ভাবে বিরোধ নিষ্পত্তির চেষ্টা হলেও বিষয়টি সুষ্ঠু সমাধান হয়নি। ২০২১ সালে এছহাক মীর গংরা আমতলী আদালতে মামলা দায়ের করেন। মামলা নং ৭২২/২০২১ এবং আদালতের বিচারাধীন সময়ে বিবাদী পক্ষের বিরুদ্ধে ২০২৪ সালের ১৭ নভেম্বর আদালত থানা পুলিশের মাধ্যমে শান্তি শৃঙ্খলা বজায় রাখার নির্দেশ দেন।
এদিকে, ১০ জানুয়ারী আদালতের আদেশ অমান্য করে বিবাদী পক্ষ এছহাক মীর, শহিদুল মীর, শাহিন মীর ও শামিম মীর একযোগে ওই বিরোধীয় জমিতে ঘর উত্তোলন করতে শুরু করেন। এ সময় স্থানীয় থানায় বিষয়টি জানানো হলে পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে ঘর উত্তোলনের কাজ বন্ধ করে দেয়।
সংবাদ সম্মেলনে ইউনুছ খান এর পুত্র বাবুল খান অভিযোগ করে বলেন, “এছহাক মীর ও তার সহযোগীরা আমাদের জমি দখল করার জন্য আইন অমান্য করছে। তারা একাধিকবার শালিস ব্যবস্থাকে অমান্য করে আমাদের জমিতে ঘর উত্তোলন করে, যা মেনে নেয়া যায় না। আমরা প্রশাসনের কাছে দ্রুত আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের আবেদন জানাচ্ছি।”
এ প্রসঙ্গে, এছহাক মীরের পুত্র শহিদুল মীর তাদের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ অস্বীকার করেছেন এবং আদালতের আদেশ অমান্য করে ঘর উত্তোলন করা নিয়ে কোনো বক্তব্য দিতে রাজি হননি।
আমতলী থানার অফিসার ইনচার্জ মো. আরিফুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন এবং বলেন, “ঘর উত্তোলনের কাজ বন্ধ করা হয়েছে। আইন অমান্য করলে কঠোর আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।”
মো: তুহিন হোসেন
স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, চন্দ্রদ্বীপ নিউজ ২৪ ডট কম