চন্দ্রদ্বীপ ডেস্ক: সম্প্রতি আরব সাগরে চলাচলকারী বাণিজ্যিক জাহাজগুলোকে লক্ষ্য হামলা বৃদ্ধির জেরে সাগরে ৩টি যুদ্ধজাহাজ এবং একটি নজরদারি বিমান মোতায়েন করেছে ভারত। সোমবার থেকে এসব জাহাজ এবং উড়োজাহাজ সাগরে টহল দেওয়া শুরু করেছে বলে এক বিবৃতিতে জানিয়েছে ভারতের নৌবাহিনী।
নৌবাহিনীর এক্সপ্লোসিভ অর্ডন্যান্স ডিসপোজাল টিমের এক কর্মকর্তা ভারতের সংবাদমাধ্যম এনডিটিভিকে জানিয়েছেন, আরব সাগরে বাণিজ্যিক জাহাজ এমভি কেম প্লুটোর ওপর ড্রোন হামলার পর এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে ভারতের সরকার।
সেই সিদ্ধান্ত অনুযায়ী এখন থেকে আরব সাগরে আইএনএস মোরমুগাও, আইএনএস কোচি এবং আইএনএস কলকাতা— এ তিনটি যুদ্ধজাহাজ এবং দূরপাল্লার নজরদারি যুদ্ধবিমান পি-৮১ এয়ারক্রাফট নিয়মিত টহল দেবে।
যে তিন যুদ্ধজাহাজ মোতায়েন করেছে ভারত— সেগুলো গাইডেড মিসাইল ডেস্ট্রয়ার নামে পরিচিত। অর্থাৎ স্বল্প ও মাঝারিপাল্লার যে কোনো ক্ষেপণাস্ত্র ধ্বংস করার মতো সরঞ্জাম এই জাহাজগুলোতে রয়েছে।
এমভি কেম প্লুটো জাহাজটির মালিক পশ্চিম আফ্রিকার দেশ লাইবেরিয়া। জাহাজটি সৌদি আরব থেকে অপরিশোধিত জ্বালানি তেল নিয়ে ভারতের দক্ষিণাঞ্চলীয় রাজ্য কর্ণাটকের নিউ ম্যাঙ্গালোর বন্দরের উদ্দেশে রওনা হয়েছিল। জাহাজটিতে মোট ২২ জন ক্রু ছিলেন। তাদের মধ্যে ২১ জনই ভারতীয় এবং বাকি একজন ভিয়েতনামের নাগরিক।
শনিবার ইয়েমেনের সমুদ্রসীমার কাছাকাছি আসার পর সেটিতে বিস্ফোরক হামলা ঘটে। এতে কোনো ক্রু নিহত না হলেও বেশ ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে জাহাজটির।
এই অবস্থায় সোমবার কোনো রকমে ভারতের মুম্বাই বন্দরে পৌঁছাতে সক্ষম হয় জাহাজটি এবং সেখানেই নোঙ্গর করে। এমভি কেম প্লুটো নোঙ্গর করার পর ভারতের নৌবাহিনীর এক্সপ্লোসিভ অর্ডন্যান্স ডিসপোজাল টিমের কর্মকর্তারা পরীক্ষা-নীরিক্ষা করে জানান, জাহাজটিতে ড্রোন হামলা হয়েছিল।
জাহাজটির ক্ষয়ক্ষতি খতিয়ে দেখার জন্য একটি তদন্ত দল গঠন করেছে নৌবাহিনীর এক্সপ্লোসিভ অর্ডন্যান্স ডিসপোজাল টিম। সেই সঙ্গে হামলাকারীদের শনাক্ত করতে একটি আন্তর্জাতিক তদন্ত দল গঠনের প্রক্রিয়াও শুরু করেছে ভারতের সরকার।
এদিকে এমভি কেম প্লুটোর ওপর ড্রোন হামলার ঘটনায় ইরানকে দায়ী করেছে যুক্তরাষ্ট্র। তবে সেই অভিযোগ অস্বীকার করেছে ইরান।
সূত্র : এনডিটিভি