নড়াইলের লোহাগড়া উপজেলার দিঘলিয়া ইউনিয়নের নোয়াগ্রাম গ্রামের মো. আফসারউদ্দিন সরদার, যিনি দিনমজুরের কাজ করে পাঁচ সদস্যের সংসার চালান, তাঁর বড় মেয়ে মিমি আক্তার এবার বরিশালের শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজে এমবিবিএস প্রথম বর্ষে ভর্তির সুযোগ পেয়েছেন। কিন্তু দারিদ্র্য তাঁর আনন্দের সঙ্গে যোগ করেছে দুশ্চিন্তা। মেডিকেল কলেজে ভর্তির টাকার ব্যবস্থা এবং মিমির ভবিষ্যতের খরচের কথা চিন্তা করে তাঁর মন অস্থির হয়ে উঠেছে।
মিমির মেধা ও পরিশ্রমের ফলস্বরূপ তিনি মেডিকেল কলেজে ভর্তির সুযোগ পেয়েছেন। তবে, পরিবারের আর্থিক সঙ্কটের কারণে তিনি চিন্তা করছেন, ভর্তির পর খরচ কীভাবে চালানো যাবে। মিমি আক্তার এবারের এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষায় সর্বোচ্চ জিপিএ-৫ পেয়েছিলেন এবং পড়াশোনায় তার অসাধারণ কৃতিত্ব ছিল।
আফসারউদ্দিন সরদার বলেন, “সব দিন কাজ পাওয়া যায় না, বাড়ির মধ্যে ছোট কিছু কাঠের গাছ ছিল, তা বিক্রি করে সংসার চালাচ্ছি। শীতের কাপড়ও কিনতে পারি না। শুনলাম মেডিকেলে ভর্তির জন্য ২৫ হাজার টাকা লাগবে, আমি কোথা থেকে পাব? এখন তো ভর্তির পর কীভাবে খরচ চালাবো, সেটাই চিন্তা করছি।”
মিমি আক্তার জানান, “ছোটবেলা থেকেই ইচ্ছা ছিল ডাক্তার হব, তবে অর্থের অভাবে সাইন্সে পড়ার কথা ভাবতে পারিনি। কিন্তু স্কুল-কলেজের শিক্ষকদের সহযোগিতা এবং মায়ের উৎসাহে পড়াশোনা চালিয়ে এসেছি। এখন মেডিকেলে ভর্তির খরচ এবং পড়াশোনার খরচ চালানো আমাদের জন্য কঠিন। তাই চিন্তা করছি, ভর্তি হতে পারব কি না।”
নবগঙ্গা ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ মো. মোশারেফ হোসেন বলেন, “মিমি আক্তার অত্যন্ত মেধাবী এবং পড়াশোনায় অনেক কষ্ট করে এগিয়েছে। তবে মেডিকেল কলেজে পড়াশোনা চালানো তার পরিবারের পক্ষে সম্ভব নয়। তাকে সহায়তা করার জন্য বিত্তবানদের এগিয়ে আসা দরকার, কারণ মিমির মতো মেধাবী শিক্ষার্থী দেশের মুখ উজ্জ্বল করতে সক্ষম।”
মো: তুহিন হোসেন
স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, চন্দ্রদ্বীপ নিউজ ২৪ ডট কম