হাসপাতালের ভেতরে হামাসের গোপন ঘাঁটি রয়েছে— অভিযোগ তুলে স্থানীয় সময় মঙ্গলবার রাত ২টার আল শিফায় অভিযান শুরু করে ইসরায়েলি বাহিনী। উপত্যকার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র এবং হাসপাতালটির মহাপরিচালক ডা. মুনির আল বুর্শ বলেছেন, অভিযান শুরুর এক ঘণ্টা আগে ইসরায়েলের স্থল বাহিনীর কর্মকর্তারা যোগাযোগ করেছিলেন তার সঙ্গে। তারা বলেছিলেন, আর কিছুক্ষণ পরেই অভিযান শুরু হবে আল শিফায়।
গত ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে হামাস অতর্কিত হামলা চালানোর পর ওই দিন থেকেই গাজায় অভিযান শুরু করে ইসরায়েলি বিমান বাহিনী। বিচ্ছিন্ন করে দেওয়া হয় উপত্যকার বিদ্যুৎ ও পানির সংযোগও।
এদিকে চিকিৎসা উপকরণ ও জ্বালানির অভাবে গাজায় একে একে বন্ধ হয়ে গেছে অন্তত ২২ টি হাসপাতাল ও ৪৯টি স্বাস্থ্য কেন্দ্র। এই তালিকায় আল শিফাও রয়েছে। গত সপ্তাহের শেষ দিক থেকে ওষুধ ও জ্বালানির অভাবে চিকিৎসা সেবা প্রায় বন্ধ রয়েছে উপত্যকার বৃহত্তম এই হাসপাতালটি। রোব এবং সোমবার হাসপাতাল চত্বরে মোট ১৭৯ জন মৃত রোগীকে দাফন করা হয়েছে।
তারপরও রোগী ছিলেন হাসপাতালটিতে। মঙ্গলবার দিবাগত রাতে ইসরায়েলি সেনারা যখন অভিযান শুরু করে, তখনও ৬৫০ জন রোগী আল শিফায় ভর্তি ছিলেন। তাদের সঙ্গে ছিলেন অন্তত অন্তত ৫ থেকে ৭ হাজার বেসামরিক ফিলিস্তিনি, যারা ইসরায়েলি বিমান বাহিনীর টানা বোমা বর্ষণে ঘর-বাড়ি হারিয়ে হাসপাতাল কম্পাউন্ডে আশ্রয় নিয়েছিলেন।
এছাড়া হাসপাতালটির ১ হাজারেরও বেশি ডাক্তার-নার্স ও স্বাস্থ্যকর্মীও আল শিফায় আটকা পড়েছিলেন ইসরায়েলি অভিযানের সময়।
বুধবারের সংবাদ সম্মেলনে আইডিএফ মুখপাত্র রিয়ার অ্যাডমিরাল হাগারি দাবি করেছেন, রোগী, স্বাস্থ্যকর্মী ও বেসামরিক লোকজনকে হাসপাতাল থেকে সরে যেতে সহায়তা করেছে ইসরায়েলি সেনারা।
এই যুদ্ধ শুরুর পর থেকেই হামাস ও ইসরায়েলের মধ্যে দূতের ভূমিকায় রয়েছে কাতার। ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে হামলা চালানোর পর যাদেরকে জিম্মি হিসেবে ধরে নিয়ে গিয়েছিল হামাস, তাদের মুক্তিদান প্রকিয়ায়ও সরাসরি সংশ্লিষ্ট রয়েছে কাতার।
সূত্র : এএফপি