শারজাহর ধীরগতির উইকেটে বাংলাদেশের মেয়েদের জন্য সেটাই অবশ্য বেশ কঠিন কাজ ছিল। শুরুর দিকে দিলারা আক্তার আর সাথী রানী পারেননি উড়ন্ত সূচনা এনে দিতে দলকে। সোবহানা মুশতারিও ক্রিজে থিতু হতে নিয়েছেন অনেকটা সময়। তবে শেষ পর্যন্ত আশা দেখিয়েও পারেননি দলকে জেতাতে, ফিরে গেছেন ৪৮ বলে ৪৪ রান করে।
এদিন পাওয়ারপ্লেতেই ২০ রানের পরই বাংলাদেশ হারায় দুই ওপেনারকে। পরে ক্রিজে আসেন অধিনায়ক জ্যোতি। আটকে থাকা রানের চাঁকাকে সচল করতে চাইলেন সোবহানাকে নিয়ে। দুইজনের জুটি কিছুটা হলেও নাগালে এনেছিল জয়ের লক্ষ্যটাকে। কিন্তু তখনই বাঁধল বিপত্তি। সোফি এক্লেস্টোনের ওভারে অহেতুক দুই রান নিতে গিয়ে নিজের উইকেট খুইয়ে বসেন জ্যোতি।
পরের ওভারেই আবার আউট হন স্বর্ণা আক্তার। সারাহ গ্লেনের বলে বোল্ড। ৫৫ রানে ৪ উইকেট হারিয়ে বাংলাদেশ পড়েছিল চাপে। জয়টা তখন টাইগ্রেসদের জন্য দূরের বাতিঘর। তবে ক্রিজে ছিলেন সোবহানা, পরে তাজ নাহার, রিতু মনি, ফাহিমা আক্তাররা জয়ের বন্দরে ভেড়াতে পারেননি দলকে।
এর আগে বাংলাদেশের বোলারদের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে ইংলিশ নারীদের নাগালেই রাখতে পেরেছিল জ্যোতির দল। প্রথম উইকেটে মায়া বুচার আর ড্যানি ওয়াটের ৪৬ রানের জুটি বাদ দিলে খুব বেশি কিছু করতে পারেননি ইংলিশ ব্যাটারদের কেউই। নাহিদা আক্তার, রিতু মণি আর ফাহিমা খাতুনের স্পিন বোলিং শারজাহর স্লো উইকেটে নাভিশ্বাস তুলেছিল ইংলিশ ব্যাটারদের।
তবু ড্যানি ওয়াটের ৪১, অ্যামি জোন্সের শেষদিকের ১২ রান আর মায়া বুচারের ২৩ রানের সুবাদে দলীয় সংগ্রহ ১০০ পার করে ইংল্যান্ড। বাংলাদেশের হয়ে এদিনও দুই উইকেট শিকার করেন রিতু। সমান উইকেট পেয়েছেন নাহিদা এবং ফাহিমা। অন্য এক উইকেট গিয়েছে রাবেয়ার ঝুলিতে। ২০ ওভারে টাইগ্রেসদের বোলিংয়ের জবাবে ইংলিশ মেয়েদের সংগ্রহ ছিল ১১৮।