শিরোনাম

আ.স.ম ফিরোজকে মন্ত্রী দেখতে চায় বাউফলবাসী

Views: 40

বরিশাল অফিস :: দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনিত নৌকার প্রার্থী আ.স.ম ফিরোজ ১ লাখ ২৪ হাজার ২৯২ ভোট পেয়ে অষ্টমবারের মতো এমপি নির্বাচিত হয়ে ইতিহাস গড়লেন। এবার নিয়ে তিনি নৌকার ১০ বার মনোনয়ন পেয়েছেন।

 

এরআগে আ.স.ম ফিরোজ ১৯৭৯, ১৯৮৬, ১৯৯১, ১৯৯৬, ২০০৮, ২০১৪ এবং ২০১৮ সালে এমপি নির্বাচিত হয়েছিলেন। দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচনে অষ্টমবার নির্বাচিত হয়ে তিনি প্রমাণ করলেন বাউফল উপজেলা আওয়ামী লীগে তিনি হচ্ছেন অদম্য সিংহপুরুষ। বাউফল আসনে মোট ভোটার ২ লাখ ৯৩ হাজার ৩২৪ জন। ভোট দিয়েছেন ১ লাখ ৩৩ হাজার ৫৩ জন।

ভোটদানের হার শতকরা ৪৫.৩৬ শতাংশ। যুক্তফ্রন্ট সরকারের পর শিক্ষিত নন্দিত বাউফলে এখনো কোন মন্ত্রী না দেয়ায় হতাশা প্রকাশ করেছে বাউফলবাসী। এবারে ৮ম বার নির্বাচিত আ.স.ম ফিরোজকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পূর্ণমন্ত্রী দেবেন এ দাবি বাউফলের সর্বস্তরের মানুষের। বাউফলের বয়োজেষ্ঠ্যরা জানান, ১৯৭৯ সাল থেকে আ.স.ম ফিরোজ নিরলশ পরিশ্রমের মাধ্যমে বাউফলের প্রতিটি গ্রামে গ্রামে ঘুরে গড়ে তুলেছেন আওয়ামী লীগের শক্তিশালী সাংগঠনিক ভীত। ফলে বাউফল হয়ে উঠে আওয়ামী লীগের দুর্গ। ১৯৭৯ সাল থেকে প্রতিটি জাতীয় নির্বচনেই নিজ দলের মধ্যে কিছু বিরোধীতা এবং বিরোধী রাজনৈতিক কর্মসূচীকে রাজনীতির অভিজ্ঞতা দিয়ে মোকাবেলা করেই তিনি এই সফলতা অর্জনে সক্ষম হয়েছেন। একারণেই শিক্ষিত, ন¤্র, ভদ্র এবং শান্তিপ্রিয় এই অভিভাবককে বাউফলের সাধারন মানুষ বারবার বেছে নিচ্ছেন। আ.স.ম ফিরোজ জাতীয় সংসদের বিভিন্ন সংসদীয় কমিটির সভাপতিসহ হুইপ, চীফ হুইপ এবং প্যানেল স্পীকারের দায়িত্ব পালন করেছেন।

 

কিন্তু ১৯৫৪ সালের যুক্তফ্রন্ট সরকারের আমালে বাউফলের এমপি মনোরঞ্জন সিকদারকে স্বাস্থ্যমন্ত্রী দেওয়া হয়েছিল। এরপর প্রায় ৭০ বছর পার হয়ে গেলেও শিক্ষিত-নন্দিত আওয়ামী লীগের দুর্গ হিসেবে খ্যাত বাউফলে আর কেউ মন্ত্রীত্ব পায়নি। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবার আ.স.ম ফিরোজকে পূর্ণ মন্ত্রীত্ব দেবেন এমনটাই প্রত্যাশা করছেন বাউফলের সর্বস্তরের মানুষ। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ভোট কেন্দ্রে সন্তোষজনক ভোটার উপস্থিত করতে নিয়মিত প্রচার-প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছিলেন ক্যারিশমেটিক আ.স.ম ফিরোজ।

 

তার রাজনৈতিক কৌশলের কাছে বারবারই ধরাশায়ী হয়েছে বিপক্ষের প্রার্থীরা। এবারও তার ব্যাতিক্রম ঘটেনি। অষ্টমবার এমপি নির্বাচিত আ.স.ম ফিরোজ এক প্রতিক্রিয়ায় জানান, আমি জনগণকে কতটা ভালবাসি তার প্রমাণ হচ্ছে তাদের পবিত্র ভোটে আমি বারবার নির্বাচিত হচ্ছি।

রাজনীতির মূল ভরসা হচ্ছে জনগণ। তাদের সুখ-দু:খের সময় আমি পাশে থাকি এটাই আমার রাজনৈতিক কারিশমা। জনবান্ধব আওয়ামী লীগ সরকারের উন্নয়ন কর্মকা- ও স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মানের লক্ষে কাজ করার সুযোগ দেওয়ার জন্য আমি বাউফল বাসীর কাছে ঋনী। বাউফলের জনগণের প্রত্যাশা সম্পর্কে প্রধানমন্ত্রী বুঝেন।

image_pdfimage_print

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *