প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, হামাস-ইসরায়েল সংঘাত আরও বাড়লে তা পুরো অঞ্চলের জন্য দুঃস্বপ্নে পরিণত হবে বলে মন্তব্য করেছেন জর্ডানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আয়মান সাফাদি। তিনি বলেছেন, ফিলিস্তিনিদের গাজা থেকে মিশরে সরিয়ে নেওয়া তার দেশের কাছে ‘অগ্রহণযোগ্য’ হবে।
সাফাদি বলেন, শান্তি ও মর্যাদার সাথে বেঁচে থাকার অধিকারের পক্ষে জনগণকে দাঁড়াতে হবে এবং ইসরায়েলি ও ফিলিস্তিনি উভয় নাগরিকের হত্যার নিন্দা করা উচিত বিশ্বের। তিনি প্রশ্ন করেন, ‘ইউক্রেনে খাদ্য ও পানীয় প্রবেশে বাধা দেওয়া হলে সেটি যুদ্ধাপরাধ, কিন্তু গাজার ক্ষেত্রে এটি একই নয় কেন?’
হামাসের এই হামলায় নিহত ইসরায়েলিদের সংখ্যা ১৪০০ জনে পৌঁছেছে। নিহতদের মধ্যে ২৮৬ জন সেনাসদস্যও রয়েছে বলে আনুষ্ঠানিকভাবে নিশ্চিত করা হয়েছে। হামাসের হামলায় আহত হয়েছেন আরও হাজার হাজার ইসরায়েলি। এছাড়া আরও বহু মানুষকে বন্দি করে গাজায় নিয়ে গেছে হামাস।
পরে হামাসের হামলার প্রতিশোধে ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকার সীমান্ত প্রাচীরের কাছে অবস্থান নিয়েছে ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর শত শত ট্যাংক। গাজায় অব্যাহত বিমান হামলার মধ্যেই গত শনিবার ট্যাংকগুলো গাজার কাছে নিয়ে আসা শুরু হয়। আশঙ্কা করা হচ্ছে— যে কোনও সময় গাজায় ইসরায়েলের স্থল অভিযান শুরু হতে পারে।
বিবিসি বলছে, হামাসের হাতে বন্দিদের ফিরিয়ে আনতে মিশর এবং কাতারসহ অন্যান্য আরব দেশের সঙ্গে কাজ করছে জর্ডান। বন্দি থাকা বয়স্ক ও শিশুদের মুক্তি পাওয়ার সম্ভাবনা সম্পর্কে জানতে চাইলে পররাষ্ট্রমন্ত্রী সাফাদি বলেন, পর্দার আড়ালে অনেক কাজ করা হচ্ছে।
তার ভাষায়, ‘আমরা আশাবাদী, আমাদের এমন পর্যায়ে পৌঁছাতে পারব যেখানে সেই বন্দিদের মুক্তি দেওয়া হবে ও চলমান উত্তেজনাও বন্ধ হবে এবং আমরা আরও সামনে এগিয়ে যেতে সক্ষম হবো।’
জর্ডানের এই পররাষ্ট্রমন্ত্রী বিস্তৃত অঞ্চলে চলমান এই সংঘাত আরও বৃদ্ধির বিষয়েও সতর্ক করে দেন। তিনি বলেন, ‘যদি এই সংঘর্ষ বাড়তে থাকে এবং ক্রমবর্ধমানভাবে বৃদ্ধির সত্যিকারের হুমকি থাকে, তাহলে আমরা এমন একটি দুঃস্বপ্নের কথা বলবো যা পুরো অঞ্চলকে গ্রাস করবে।’