ঝালকাঠির বিষখালী ও সুগন্ধা নদীর তীরে ইটভাটার জন্য অবৈধভাবে মাটি কাটার মহৎসব চলছে, যা তীব্র নদী ভাঙন এবং পরিবেশগত বিপর্যয়ের কারণ হয়ে উঠেছে। স্থানীয়দের অভিযোগ, প্রভাবশালী চক্রটি নদী তীর থেকে মাটি কেটে তা বিক্রি করে, ফলে নদীভাঙন ও ফসলি জমির ক্ষতি বাড়ছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, রাতের আধাঁরে এবং ভোরের প্রথম আলোতেই প্রশাসনের নজর এড়িয়ে নদী তীরের মাটি কাটতে দেখা যাচ্ছে একটি চক্রকে। নৌকা ও ট্রলারে করে এসব মাটি জেলার বিভিন্ন ইটভাটায় পাঠানো হচ্ছে। ঝালকাঠি সদর উপজেলার পোনা বালিয়া ইউনিয়ন, কাঠালিয়া, রাজাপুর এবং নলছিটি উপজেলার নদী তীর থেকে নিয়মিত মাটি কাটা হলেও প্রশাসনের পক্ষ থেকে এখনও কোনো কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।
স্থানীয়রা জানিয়েছেন, প্রায় ২০টি এলাকায় প্রতিদিন মাটি কেটে ইট তৈরি করা হচ্ছে, যার ফলে নদী ভাঙন তীব্রতর হচ্ছে এবং নদী তীরবর্তী রাস্তা, বাঁধ এবং ফসলী জমির ক্ষতি হচ্ছে। এছাড়াও গাছ কেটে ইট পোড়ানোর অভিযোগ রয়েছে, যা পরিবেশের উপর আরও চাপ সৃষ্টি করছে। ক্ষুব্ধ স্থানীয়রা দ্রুত প্রশাসনিক পদক্ষেপ গ্রহণের দাবি জানিয়েছেন।
ঝালকাঠি জেলা প্রশাসক আশরাফুর রহমান জানিয়েছেন, নদী তীরের মাটি কাটা বন্ধে উপজেলার ইউএনও এবং এসিল্যান্ডদের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। তবে সাধারণ মানুষের দাবি, অবৈধ ইটভাটা বন্ধ করে এবং মাটি কাটার সাথে জড়িতদের আইনের আওতায় আনা হোক।
মো: তুহিন হোসেন
স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, চন্দ্রদ্বীপ নিউজ ২৪ ডট কম