চন্দ্রদ্বীপ ডেস্ক: ইরান ও তুরস্কের মধ্যে সম্প্রতি ১০টি সহযোগিতা চুক্তি সই হয়েছে। বার্তা সংস্থা ইরনা জানিয়েছে বিনিয়োগ ও অর্থনৈতিক সহযোগিতা বৃদ্ধিসহ আঞ্চলিক বিভিন্ন বিষয়ে ওইসব চুক্তি সই হয়।
চুক্তির বিশেষ খাতগুলোর মধ্যে রয়েছে সংস্কৃতি, গণমাধ্যম ও যোগাযোগ, রেল ও বিমান পরিবহন, বিদ্যুৎ, জ্বালানি, অর্থনৈতিক ও মুক্ত বাণিজ্যিক অঞ্চল। ইরান ও তুরস্কের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি এবং তুর্কি প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়্যেপ এরদোয়ানের উপস্থিতিতে ওইসব চুক্তিপত্রে সই করেছেন।
ইরানের প্রেসিডেন্ট গত বুধবার তুরস্কের প্রেসিডেন্টের আনুষ্ঠানিক আমন্ত্রণে আঙ্কারা সফর করেন। একদিনের ওই সরকারি সফরে ইরান-তুরস্ক সহযোগিতা পরিষদের অষ্টম বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক, আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক উন্নয়ন ইত্যাদি বিষয়ে তাদের মধ্যে আলোচনা হয়। বৈঠক শেষে যৌথ সহযোগিতা চুক্তিগুলো সই হয় এবং একটি যৌথ সংবাদ সম্মেলনে উভয় নেতা চুক্তির বিষয়গুলো ব্যাখ্যা করেন।
দ্বিপক্ষীয় ওই বৈঠকে গাজা উপত্যকায় ইহুদিবাদী ইসরাইলের বর্বর সামরিক হামলা অব্যাহত রাখা, সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে লড়াই ও ইরান ও তুরস্কের মধ্যে ব্যবসায়িক সম্পর্ক উন্নয়নের বিষয়গুলো নিয়েও আলোচনা হয়।
সফর শেষে দুই দেশ দ্বিপক্ষীয় রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক ও সাংস্কৃতিক সম্পর্ক বিকাশের ব্যাপারে দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করেন। এ বিষয়ের ওপর জোর দিয়ে দুই নেতা একটি যৌথ বিবৃতিও দেন। রপ্তানি ও আমদানি বাণিজ্যে তুরস্ক ইরানের তৃতীয় বাণিজ্যিক অংশীদার।
উভয় পক্ষই দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্যের পরিমাণ ৩০ বিলিয়ন ডলারের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে। বর্তমানে বাণিজ্যের পরিমাণ ৭ বিলিয়ন ডলারের মতো। দুইদেশের মধ্যে সম্ভাব্য বাণিজ্যিক সক্ষমতার তুলনায় ৭ বিলিয়ন ডলারের লক্ষ্যমাত্রা অনেক কম।
ইরান ও তুরস্ক, দুই প্রতিবেশী দেশ। দেশ দুটোর মধ্যে সাংস্কৃতিক ও ধর্মীয় ক্ষেত্রে অনেক মিল রয়েছে। আঞ্চলিক সমীকরণে এই অভিন্ন বৈশিষ্ট্য কার্যকর ভূমিকা পালন করতে পারে বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞ মহল। বিশেষ করে আঞ্চলিক শান্তি ও স্থিতিশীলতা বজায় রাখতে দু’দেশের পারস্পরিক সহযোগিতা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
ইরান ও তুরস্কের মধ্যে অর্থনৈতিক সহযোগিতা বিষয়ক সপ্তম শীর্ষ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছিল ২০২২ সালের ৯ জুলাইতে। ইরানে তুরস্কের প্রেসিডেন্টের সরকারি সফরের সময় ওই বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছিল।