শিরোনাম

ইসরাইলকে সামরিক সহায়তা বন্ধের হুমকি যুক্তরাষ্ট্রের

Views: 23

চন্দ্রদ্বীপ ডেস্ক: ৩০ দিনের মধ্যে ফিলিস্তিনের গাজায় মানবিক সহায়তা প্রবেশের সুযোগ বাড়াতে ইসরাইলকে চিঠি দিয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। সেটি না করলে কিছু মার্কিন সামরিক সহায়তা বন্ধ হয়ে যেতে পারে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছে ওয়াশিংটন।

এটি ইসরাইলের প্রতি বাইডেন প্রশাসনের সবচেয়ে কঠোর লিখিত সতর্কবার্তা হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।

চিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছে, ইসরাইল গত এক মাসে উত্তর ও দক্ষিণ গাজার মধ্যে প্রায় ৯০ শতাংশ মানবিক চলাচল বন্ধ বা সীমাবদ্ধ করেছে।

উত্তর গাজায় ইসরাইলের চালানো আক্রমণের ফলে দক্ষিণ গাজায় বেসামরিক মানুষ ব্যাপকভাবে বাস্তুচ্যুত হয়েছে। তার মাঝেই এমন চিঠি পাঠাল যুক্তরাষ্ট্র।

যুক্তরাষ্ট্রের কাছ থেকে চিঠি পাওয়ার পর ইসরাইল তা পর্যালোচনা করছে।

একজন ইসরাইলি কর্মকর্তা বলেছে যে ‘আমাদের দেশ এই বিষয়গুলো গুরুত্ব দিয়ে দেখে’। যুক্তরাষ্ট্র যে বিষয়টি নিয়ে উদ্বেগ জানিয়েছে তার সমাধানও করতে চায় তারা।

ইসরাইল অবশ্য এর আগে বলেছে তাদের মূল লক্ষ্য হামাসকে নির্মূল। তারা কোথাও মানবিক সাহায্য প্রবেশ করতে বাঁধা দিচ্ছে না।

সোমবার ইসরাইলি প্রতিরক্ষা বাহিনী জানিয়েছে, বিশ্ব খাদ্য সংস্থার খাদ্য ভর্তি ৩০টি লরি উত্তর গাজায় প্রবেশ করেছে।

গত সপ্তাহে জাতিসঙ্ঘ নিরাপত্তা পরিষদে যুক্তরাষ্ট্র বলেছিল, ইসরাইলকে অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় ফিলিস্তিনি বেসামরিকদের মধ্যে ‘বিপর্যয়কর পরিস্থিতি’ সমাধানে দ্রুত ব্যবস্থা নিতে হবে এবং সহায়তা সরবরাহ সীমিত করার মাধ্যমে ‘দুর্ভোগ বাড়ানো’ বন্ধ করতে হবে।

দখলকৃত ফিলিস্তিন এলাকায় বিশ্ব খাদ্য সংস্থার প্রধান আন্তোইনি রেনার্ড বার্তা সংস্থা এএফপিকে বলেছেন, উত্তর গাজা এলাকার মানুষ ‘পুরোপুরি খাদ্য সহায়তার’ ওপর নির্ভরশীল। জাতিসঙ্ঘ সংস্থাগুলোর বিতরণ করা খাবার ছাড়া তাদের আর কোনো মাধ্যমে খাবার পাওয়ার উপায় নেই।

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এখন পর্যন্ত ইসরাইলের সবচেয়ে বড় অস্ত্র সরবরাহকারী। দেশটি ইসরাইলি সামরিক বাহিনীকে গত এক বছরে গাজায় হামাসের বিরুদ্ধে যুদ্ধের জন্য নানা ধরনের সহযোগিতা করে আসছে।

দুদিন আগে পাঠানো ওই চিঠিতে স্বাক্ষর করেছেন মার্কিন সেক্রেটারি অব স্টেট অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন ও ডিফেন্স সেক্রেটারি লয়েড অস্টিন। চিঠিতে ‘অবনতিশীল মানবিক পরিস্থিতি’ নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের ‘গভীর উদ্বেগ’ প্রকাশ করা হয়েছে।

এতে আরো বলা হয়েছে, বাড়িঘর ছেড়ে যাওয়ার আদেশের কারণে ১৭ লাখ মানুষকে একটি সংকীর্ণ উপকূলীয় এলাকায় আশ্রয় নিতে হয়েছে যেখানে তারা ‘মারাত্মক সংক্রামণের উচ্চ ঝুঁকিতে’ রয়েছেন।

image_pdfimage_print

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *