চন্দ্রদ্বীপ ডেস্ক: ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ খামেনি বলেছেন, সিরিয়ার রাজধানী দামেস্কে ইরানি কনস্যুলেটে হামলা চালানোর জন্য ইহুদিবাদী ইসরায়েলকে শাস্তি দেওয়া হবে।
তিনি বুধবার (১০ এপ্রিল) তেহরানের গ্রান্ড মোসাল্লা বা জাতীয় ঈদগাহ ময়দানে পবিত্র ঈদুল ফিতরের নামাজ শেষে এই হুমকি দিয়েছেন।
গত ১ এপ্রিল দামেস্কের ইরান দূতাবাস সংলগ্ন কনস্যুলেট ভবনে ইসরায়েলি বিমান হামলার প্রতি ইঙ্গিত করে তিনি এ হুমকি দেন।
আয়াতুল্লাহ খামেনি বলেন, ইহুদিবাদী সরকার আরেকটি ভুল করেছে এবং তারা দামেস্কের ইরানি কনুস্যলেটে হামলা চালিয়েছে। কোনো দেশের কনস্যুলেটসহ অন্যান্য কূটনৈতিক মিশন ওই দেশের ভূখণ্ড বলে বিবেচিত হয়। তারা যখন আমাদের কনস্যুলেটে হামলা চালিয়েছে তখন মূলত তারা আমাদের ভূখণ্ডে হামলা চালিয়েছে।
এরপর তিনি সুস্পষ্ট ঘোষণা দেন, ইহুদিবাদী ইসরায়েলকে শাস্তি পেতে হবে এবং শাস্তি দেওয়া হবে।
অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় ইসরাইলের গত ছয় মাসের ভয়াবহ গণহত্যা ও অপরাধযজ্ঞের তীব্র নিন্দা জানিয়ে আয়াতুল্লাহ খামেনি বলেন, এ ঘটনায় কথিত পশ্চিমা সভ্যতার নষ্ট ও ভ্রষ্ট প্রকৃতির প্রমাণ পাওয়া গেছে।
ইরানের সর্বোচ্চ নেতা বলেন, পশ্চিমা সরকারগুলো কথিত পশ্চিমা সভ্যতার নষ্ট চরিত্র প্রকাশ করে দিয়েছে। বিগত ছয় মাসে গাজার ঘটনায় পশ্চিমা সরকারগুলো বিশ্ববাসীর চোখের সামনে তাদের প্রকৃত চরিত্র তুলে ধরেছে। তারা মায়ের কোলে থাকা সন্তানদের ও হাসপাতালে থাকা রোগীদের হত্যা করেছে। ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ যোদ্ধাদের সঙ্গে পেরে না উঠে তারা বয়স্ক ব্যক্তি, নারী ও শিশুসহ ত্রিশ হাজারের বেশি মানুষকে হত্যা করেছে।
ইরানের সর্বোচ্চ নেতা বলেন, যারা কর্কশ কণ্ঠে এতদিন বিশ্ববাসীর কানের কাছে মানবাধিকার রক্ষার কথা বলে এসেছে তারা আজ কোথায়? গাজাবাসীকে কি মানুষ মনে হয় না? তাদের কি কোনো অধিকার থাকতে নেই?
আয়াতুল্লাহ খামেনি বলেন, পশ্চিমা সরকারগুলো বহুকাল ধরে নিরবচ্ছিন্নভাবে ইসরায়েলকে সহযোগিতা ও পৃষ্ঠপোষকতা দিয়ে এসেছে ও আন্তর্জাতিক অঙ্গণেও এই সরকারকে সব ধরনের কূটনৈতিক সহযোগিতা দিয়ে যাচ্ছে।
ইরানের সর্বোচ্চ নেতা বলেন, তাদের উচিত ছিল গাজা বিপর্যয়ে ইহুদিবাদী ইসরায়েলকে প্রতিহত করা। কিন্তু তারা তাদের কর্তব্য পালন করেনি। কাউকে কাউকে মৌখিকভাবে গাজাবাসীর পক্ষে কথা বলতে শোনা গেছে, কিন্তু বাস্তবে তারা শুধু যে গাজাবাসীকে রক্ষা করতে পারেনি তাই নয় বরং উল্টো তাদেরকে হত্যা করার কাজে সহযোগিতা করেছে। এই কাজে দাম্ভিক ও নিষ্ঠুর যুক্তরাষ্ট্র ও ব্রিটেন সবার চেয়ে এগিয়ে ছিল।
ইসলামি প্রজাতন্ত্র ইরানের সর্বোচ্চ নেতা ঈদের নামাজের খুতবায় দেশের জনগণসহ গোটা মুসলিম উম্মাহকে ঈদুল ফিতরের শুভেচ্ছা জানান ও মুসলিম বিশ্বের সুখ ও সমৃদ্ধি কামনা করে দোয়া করেন।
সূত্র: পার্সটুডে, প্রেসটিভি