ইসরায়েলি এক নারী ও তার দুই শিশু সন্তানকে মুক্তি দিয়েছে ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাস। ইসরায়েলে অভিযান চালানোর সময় তারা গাজা উপত্যকাভিত্তিক ফিলিস্তিনি এই গোষ্ঠীর হাতে আটক হয়েছিল।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গাজা উপত্যকায় ফিলিস্তিনি সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাসের হাতে আটক হওয়া এক ইসরায়েলি নারী এবং তার দুই সন্তানকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে বলে গ্রুপটির সশস্ত্র শাখার এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে।হামাসের সামরিক শাখা ইজ্জেদিন আল-কাসাম ব্রিগেডস এক বিবৃতিতে বলেছে, ‘একজন ইসরায়েলি বসতি স্থাপনকারী এবং তার দুই সনকে সংঘর্ষের সময় আটক করার হলেও পরে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।’
আল জাজিরা বলছে, হামাসের কাসাম ব্রিগেডস একটি ভিডিও প্রকাশ করেছে যাতে দেখা যাচ্ছে, আটককৃত এক নারী ও তার দুই শিশুকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে। বুধবার রাতে আল জাজিরাতে প্রচারিত ফুটেজটি দূর থেকে ধারণ করা হয়েছে। সেখানে পেছন থেকে অজ্ঞাতনামা এক নারী এবং ওই দুই শিশুকে দেখানো হয়েছে।
ওই ভিডিও ফুটেজে বেশ কয়েকজন যোদ্ধাকে – যারা সম্ভবত হামাস যোদ্ধা – একটি বেড়ার কাছে খোলা জায়গায় ওই নারী ও তার দুই শিশুকে রেখে চলে যেতে দেখা যায়, যা ইসরায়েল এবং গাজার মধ্যে সীমান্ত হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।
ভিডিওটি কবে ধারণ করা হয়েছে তা স্পষ্ট নয়। তবে ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষ এখনও ভিডিওটির বিষয়ে কোনও মন্তব্য করেনি।
হামাসের সশস্ত্র শাখা কাসাম ব্রিগেডস এক বিবৃতিতে বলেছে, ওই নারী একজন ইসরায়েলি নাগরিক। বার্তাসংস্থা এএফপির এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ‘একজন ইসরায়েলি বসতি স্থাপনকারী এবং তার দুই সন্তানকে সংঘর্ষের সময় আটক করা হলেও পরে তাকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।’
প্রসঙ্গত, মুসলিমদের তৃতীয় পবিত্র ধর্মীয় স্থান আল-আকসা মসজিদের পবিত্রতা লঙ্ঘন এবং অবৈধ বসতিস্থাপনকারীদের অত্যাচারের জবাব দিতে গত শনিবার ইসরায়েলে ‘অপারেশন আল-আকসা ফ্লাড’ নামে সামরিক অভিযান শুরু করে ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাস।
এরপর থেকে টানা ছয়দিনের এই সংঘাতে নিহত ইসরায়েলিদের সংখ্যা ১২০০ ছাড়িয়েছে। নিহতদের মধ্যে বহু সেনাসদস্য, নারী ও শিশু রয়েছে। এছাড়া আহত হয়েছে আরও হাজার হাজার ইসরায়েলি। এছাড়া আরও বহু মানুষকে বন্দি করেছে হামাস।
জাতিসংঘের ফিলিস্তিনি শরণার্থী সংস্থা বলেছে, ইসরায়েলের হাতে অবরুদ্ধ ফিলিস্তিনি এই ভূখণ্ডে আড়াই লাখ মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছেন। পর্যবেক্ষকরা এটিকে ‘মানবিক বিপর্যয়’ হিসেবে আখ্যায়িত করেছে।
ইসরায়েলি সেনাবাহিনী বলছে, গত শনিবার থেকে ইসরায়েলে ১৫৫ সেনাসহ ১২০০ জনেরও বেশি মানুষ মারা গেছে।