শিরোনাম

ইসরায়েলের আগ্রাসনে লেবাননে লাশের স্তূপ

Views: 34

চন্দ্রদ্বীপ ডেস্ক: লেবাননে কয়েক দশকের মধ্যে সবচেয়ে বর্বর হামলা চালাচ্ছে ইসরায়েল। এতে লাশের স্তূপ জমেছে দেশটিতে। গত দু’দিনের হামলায় লেবাননে নিহতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫৫৮। এর মধ্যে অন্তত ৫০ শিশু রয়েছে। আগ্রাসনে আহত হয়েছেন ১ হাজার ৮৩৫ জন। মঙ্গলবার লেবাননের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এসব তথ্য জানিয়েছে।

১৯৯০ সালে লেবাননের গৃহযুদ্ধ শেষ হওয়ার পর সবচেয়ে প্রাণঘাতী সময় পার করছে মধ্যপ্রাচ্যের সংকটাপন্ন মুসলিমপ্রধান দেশটি। ইসরায়েলি সেনাবাহিনী বলছে, লেবাননে ১ হাজার ৫০০ হামলায় ২ হাজার অস্ত্র ব্যবহার করা হয়েছে। ইসরায়েলের দাবি, লেবাননের সশস্ত্র সংগঠন হিজবুল্লাহকে ধ্বংস করার জন্য তারা এ অভিযান চালাচ্ছে।

অন্যদিকে, লেবানন থেকে সোমবার রাতে হিজবুল্লাহ যোদ্ধারাও ইসরায়েলকে লক্ষ্য করে পাল্টা হামলা চালিয়েছেন। ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনী বলেছে, সোমবার রাতে লেবানন থেকে আফুলা এলাকা ও উত্তর ইসরায়েলের উপত্যকাগুলো নিশানা করে ২০০টির বেশি রকেট ছোড়া হয়েছে। রাতভর এসব অঞ্চলে হামলার সতর্কতার ‘সাইরেন’ বেজেছে। হামলায় আহত হয়েছেন অন্তত দুই ইসরায়েলি। দক্ষিণ ইসরায়েলের সাফেদ এলাকার একটি সামরিক ঘাঁটি লক্ষ্য করে দুই দফা রকেট হামলা চালিয়েছে হিজবুল্লাহ।
ইসরায়েলের একজন সামরিক মুখপাত্র সিএনএনকে জানিয়েছেন, বেশির ভাগ রকেটের টার্গেট ছিল উত্তর ইসরায়েলের লোয়ার গ্যালিলি ও হায়ামাকিম এলাকা। সামরিক বাহিনী আরও বলেছে, বেশির ভাগ ক্ষেপণাস্ত্র বাধা দেওয়া হয়েছে। তবে হামলায় ভবনের ক্ষতি হয়েছে। মঙ্গলবার ইসরায়েলের ফায়ার অ্যান্ড রেসকিউ সার্ভিসের ক্রুদের প্রকাশিত ভিডিওতে হামলার কারণে সৃষ্ট আগুন নেভাতে কাজ করতে দেখা যায়।

পাল্টা হামলার আশঙ্কায় গতকাল ইসরায়েলের উত্তরাঞ্চলের বেশির ভাগ স্কুল বন্ধ রাখা হয়েছে বলে জানায় টাইমস অব ইসরায়েল। লেবাননেও সব স্কুল বন্ধের নির্দেশনা দিয়েছে দেশটির শিক্ষা মন্ত্রণালয়।
হামলার কারণে দক্ষিণ লেবানন থেকে হাজার হাজার মানুষ পালিয়ে যাচ্ছেন। ফলে রাস্তায় তীব্র যানজট সৃষ্টি হয়েছে। গাজায় ইসরায়েলি আগ্রাসন অব্যাহত থাকায় অন্য ফ্রন্টেও যুদ্ধের আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। পাল্টাপাল্টি হামলার জেরে বেশ কয়েকটি উড়োজাহাজ সংস্থা বৈরুতে উড়োজাহাজ চলাচল সাময়িক বন্ধ রাখা হয়েছে l

image_pdfimage_print

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *