একটি সূত্র সংবাদমাধ্যমটিকে জানিয়েছে, গাজায় মানবিক পরিস্থিতির বিপর্যয়ের জন্য শুধুমাত্র ইসরায়েলকেই দায়ী করে মিসর।
সূত্রটি আরও জানিয়েছে, জিম্মি চুক্তির ক্ষেত্রে মিসর তার কাজ করেছে এবং গাজার ফিলিস্তিনিদের প্রতি যে দায়িত্ব ছিল সেটি পূরণ করেছে।
গত সপ্তাহে হঠাৎ করে গাজা ও মিসরের সীমান্তবর্তী রাফা ক্রসিং দখল করে নেয় ইসরায়েলি সেনারা। এরপর থেকে সীমান্তটি পুরোপুরি বন্ধ হয়ে গেছে। সেখান দিয়ে এখন কোনো ধরনের ত্রাণ আসছে না। এর আগে গাজার দক্ষিণাঞ্চলের মানুষের কাছে ত্রাণ আসার একমাত্র পথ ছিল এই রাফা ক্রসিং। এছাড়া গাজা থেকে উন্নত চিকিৎসার জন্য মিসর যাওয়ার একমাত্র রাস্তাও ছিল এটি।
রাফা ক্রসিং দখল করার পর শনিবার রাফার মধ্যাঞ্চল থেকে বাসিন্দাদের সরে যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছে ইসরায়েল। এরমাধ্যমে আশঙ্কা করা হচ্ছে, এখন সেখানে পূর্ণমাত্রার হামলা চালাবে দখলদার ইসরায়েলের সেনারা।
ইসরায়েলের ধারণা, হামাস যেসব ইসরায়েলিকে গাজায় ধরে নিয়ে গেছে তাদের বেশিরভাগ এখন রাফাতে রয়েছে। এ কারণে সেখানে তার বড় ধরনে হামলা চালানোর প্রস্তুতি নিচ্ছে।
তবে ইসরায়েলি সেনাদের হামলার কারণে জিম্মিদের মৃত্যু হতে পারে বলে আশঙ্কা করেছেন তাদের পরিবারের সদস্যরা। এ কারণে আজ শনিবার তেল আবিবে এক সংবাদ সম্মেলনে জিম্মিদের পরিবারের সদস্যরা জিম্মি চুক্তি ও নেতানিয়াহুর সরকারের পতনের ডাক দিয়েছেন।
সূত্র: জেরুজালেম