হিজবুল্লাহ এক বিবৃতিতে বলেছে, ‘৩০ বছর ধরে নেতৃত্ব দেওয়া হিজবুল্লাহর মহাসচিব সায়্যেদ হাসান নাসরাল্লাহ মহান ও অমর শহীদ সহযোদ্ধাদের সঙ্গে যুক্ত হয়েছেন।
এএফপির এক সাংবাদিক জানান, লেবাননের রাজধানী বৈরুতে হিজবুল্লাহর এই ঘোষণার পরপরই এক পথচারীকে চিৎকার করে বলতে শোনা যায়, ‘হে আল্লাহ!’ এবং নারীদের রাস্তায় কাঁদতে দেখা যায়। এ ছাড়া গুলির শব্দও শোনা গেছে, যা এই প্রভাবশালী ধর্মীয় নেতার জন্য শোক প্রকাশের ইঙ্গিত। তিনি হিজবুল্লাহ সমর্থকদের কাছে অত্যন্ত শ্রদ্ধেয় ছিলেন।
ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী শনিবার বলেছে, তাদের অন্যতম ‘সবচেয়ে বড় শত্রু’ হিজবুল্লাহপ্রধান হাসান নাসরাল্লাহর হত্যাকাণ্ড বিশ্বের নিরাপত্তা বৃদ্ধি করেছে। তবে গোষ্ঠীর অন্য শীর্ষ নেতারাও লক্ষ্যবস্তুতে থাকবেন। ইসরায়েলি সামরিক মুখপাত্র রিয়ার অ্যাডমিরাল ড্যানিয়েল হাগারি এক টেলিভিশন ব্রিফিংয়ে বলেন, ‘নাসরাল্লাহ ছিল সর্বকালের অন্যতম বৃহৎ ইসরায়েলবিরোধী শত্রু…তার অপসারণ বিশ্বের নিরাপত্তা আরো মজবুত করেছে।
নাসরাল্লাহ ২০০৬ সালের পর থেকে জনসমক্ষে খুব কমই দেখা দিয়েছেন। ১৯৯২ সালে মাত্র ৩২ বছর বয়সে তিনি হিজবুল্লাহর মহাসচিব নির্বাচিত হন, যখন ইসরায়েলি হেলিকপ্টারের গুলিতে তার পূর্বসূরি আব্বাস আল-মুসাভি নিহত হন।