তাদের মধ্যে ছয়জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে বার্তাসংস্থা রয়টার্স।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইসরায়েলি হামলার প্রতিশোধ হিসাবে ইসরায়েলের উত্তরাঞ্চলে একটি সামরিক স্থাপনায় ক্ষেপণাস্ত্র এবং ড্রোন হামলা চালানো হয়েছে বলে লেবাননের হিজবুল্লাহ বুধবার জানিয়েছে।
ইসরায়েলি সেনাবাহিনী বলেছে, এই হামলায় তাদের ১৪ সৈন্য আহত হয়েছে। আহত সেনাদের মধ্যে ছয় জনের অবস্থা গুরুতর।
জবাবে লেবানন থেকে আরব আল আরামশে বেদুইন গ্রামের দিকে গোলাবর্ষণের বেশ কয়েকটি উৎস-সহ অ্যান্টি-ট্যাংক মিসাইল এবং ড্রোন উৎক্ষেপণ শনাক্ত করার পরে ইসরায়েলও পাল্টা হামলা চালিয়েছে।
ইসরায়েলি ইয়েনেট নিউজ সাইট জানিয়েছে, ইসরায়েলে ওই সৈন্যরা গ্রামের একটি কমিউনিটি সেন্টারে ছিল।
এর আগে গত মঙ্গলবার দক্ষিণ লেবাননে ইসরায়েলি হামলায় হিজবুল্লাহর ফিল্ড কমান্ডারসহ তিনজন নিহত হন বলে লেবাননের নিরাপত্তা সূত্র জানিয়েছে।
পরে বুধবার, ইসরায়েলের বিমান বাহিনী জানায়, তাদের যুদ্ধবিমান পূর্ব লেবাননের বালবেকের উত্তরে হিজবুল্লাহর অবকাঠামোতে আঘাত করেছে। যদিও লেবাননের দক্ষিণ সীমান্ত অঞ্চলেই ইসরায়েল এতোদিন তার বেশিরভাগ হামলা চালিয়ে এসেছে।
ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় টানা ছয় মাসেরও বেশি সময় ধরে আগ্রাসন চালাচ্ছে ইসরায়েল। এর জেরে লেবানন সীমান্তেও হামলার মুখে পড়েছে ইহুদিবাদী এই দেশটি। লেবাননের ইরান-সমর্থিত শক্তিশালী সশস্ত্রগোষ্ঠী হিজবুল্লাহ উত্তর ইসরায়েলের বিভিন্ন লক্ষ্যবস্তুতে হামলা চালিয়ে আসছে।
মূলত গত ৭ অক্টোবর হামাস-ইসরায়েলের সংঘাত শুরুর পর থেকে হিজবুল্লাহ এবং ইসরায়েলের সামরিক বাহিনী নিয়মিতভাবেই সীমান্তে গুলিবিনিময় করছে। হিজবুল্লাহ ও ইসরায়েলের মধ্যে ২০০৬ সালের যুদ্ধের পর এটিই ইসরায়েল-লেবানিজ সীমান্তে সবচেয়ে খারাপ সহিংসতার ঘটনা।
এই লড়াই আরও ছড়িয়ে পড়ার ঝুঁকি নিয়ে উদ্বেগ বাড়ছে। এর মধ্যে গত শনিবার রাতে তিন শতাধিক বিস্ফোরক ড্রোন, ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র এবং ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপের মাধ্যমে ইসরায়েলের ওপর ইরানের প্রতিশোধমূলক আক্রমণের পরে এই উদ্বেগ আরও বেড়েছে।
ইরানের সেই হামলার জবাব দেওয়ার অঙ্গীকার করেছে ইসরায়েল।
রয়টার্সের তথ্য অনুযায়ী, হিজবুল্লাহ এবং ইসরায়েলের এই লড়াইয়ে এখন পর্যন্ত ২৪০ জনেরও বেশি হিজবুল্লাহ যোদ্ধা এবং ৬৮ জন বেসামরিক নাগরিকসহ কমপক্ষে ৩৭০ জন লেবানিজ নিহত হয়েছেন।
অন্যদিকে হিজবুল্লাহর হামলায় সৈন্য ও বেসামরিক নাগরিকসহ ১৮ জন ইসরায়েলি নিহত হয়েছে।