পটুয়াখালী প্রতিনিধি :: এবারে পটুয়াখালীর বাউফল উপজেলায় দাখিল পরীক্ষায় অংশ নেয়া শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে তিনটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের পরীক্ষার্থীদের পাসের হার শূন্য। এমন ফলাফল বিপর্যয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন স্থানীয়রা। অপরদিকে কাগজ কলমে অস্তিত্ব থাকলেও সরেজমিনে খোঁজ পাওয়া যায়নি একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের।
জানা গেছে, উত্তর দাশপাড়া দাখিল মাদরাসাটি প্রতিষ্ঠিত হয়েছিলো ১৯৮৫ খ্রিষ্টাব্দে। মাদরাসায় বর্তমানে ইবতেদায়ি থেকে দাখিল পর্যন্ত ৩ শতাধিক শিক্ষার্থী রয়েছে। ওই প্রতিষ্ঠান থেকে এ বছর দাখিল পরীক্ষায় ১৫ জন পরীক্ষার্থী অংশ নিয়েছিলেন। কিন্তু তাদের মধ্যে কেউ পাস করতে পারেননি। পশ্চিম কালিশুরী বালিকা দাখিল মাদরাসা থেকে অংশ নেয়া ১৩ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে কেউ পরীক্ষায় পাস করেননি।
আরেকটি অস্বিস্তহীন ননএমপিওভূক্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান উত্তর কেশবপুর বালিকা দাখিল মাদরাসা থেকে একজন পরীক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশ নিয়েছিলেন। তিনিও ফেল করেছেন।
আরো পড়ুন : শো-ডাউন ও মিছিল দেয়ায়- দুমকিতে চেয়ারম্যান প্রার্থী মাল্টার চার কর্মী সমর্থকের জরিমানা
ফলাফলের এ সত্যতা নিশ্চিত করেছেন উপজেলা একাডেমিক সুপারভাইজার মো. নূরুন্নবী। এমন ফলাফলে হতাশা প্রকাশ করেছেন অভিভাবকরা।
সরেজমিনে উত্তর কেশবপুর বালিকা দাখিল মাদরাসায় দেখা যায়, মাদরাসার কোন অস্বিস্ত নেই। শূন্য ভিটা পড়ে আছে। এখানে কোন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ছিলো এমন কোন চিহ্নও দেখা যায়নি। ভিটার আশে পাশে জঙ্গলে ভরপুর। কোন শিক্ষকও খুঁজে পাওয়া যায়নি। কিভাবে ফরমপূরণ করেছে তা কেউ বলতে পারেননি।
অবশেষে লতুফা নামক একজন শিক্ষিকার মোবাইল নম্বর পাওয়া গেছে স্থানীয়দের কাছে থেকে। মোবাইলে কথা হয় ওই শিক্ষকার সঙ্গে। তিনি জানান, মাদরাসাটি ১৯৮৮ খ্রিষ্টাব্দে প্রতিষ্ঠিত হলেও আজ অবধি এমপিওভুক্ত করা হয়নি। শিক্ষকরা দীর্ঘ দিন বিনা বেতনে পড়িয়েছেন। এক পর্যায়ে তাদের জীবনজীবিকা পরিচালনা করতে গিয়ে অন্য পেশায় ঝুঁকে পড়েন তারা। শিক্ষক ও স্থানীয়দের সহযোগিতা গড়া শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের টিনসেড ভবনটি দুই বছর আগে ঝড়ে ভেঙে যায়।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. বশির গাজী বলেন, যেসব প্রতিষ্ঠান থেকে কেউ পাস করেননি সেগুলোর বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।