চন্দ্রদ্বীপ ডেস্ক :: বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী দলের আমির ডা. শফিকুর রহমান দ্য ডেইলি স্টারকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে বলেছেন, “একাত্তরের অপরাধ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হলে তিনি জাতির কাছে ক্ষমা চাইবেন।”
তিনি বলেন, জামায়াত তাদের সংগঠনের পক্ষ থেকে মুক্তিযুদ্ধের সময় সংঘটিত অপরাধের দায় নেবে, তবে সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হলে। তিনি স্পষ্টভাবে জানান যে, তার দল ‘এক পাকিস্তানের’ পক্ষে ছিল এবং কিছু সদস্য ব্যক্তিগতভাবে অপরাধমূলক কাজের সঙ্গে জড়িত থাকতে পারেন, কিন্তু সাংগঠনিকভাবে জামায়াতকে দায়ী করা যাবে না।
শফিকুর রহমান বলেন, “যদি সন্দেহাতীতভাবে এ ধরনের কোনো ভুল বা অপরাধ প্রমাণিত হয়, আমি দায়িত্ব নিয়ে ক্ষমা চাইব জাতির কাছে।” তবে তিনি উল্লেখ করেন, “কোনো গোঁজামিল বা মিথ্যা চাপিয়ে দেওয়া হবে, আমি মিথ্যাকে সত্য বলব, এটা আমার পক্ষে সম্ভব না।”
তিনি উল্লেখ করেন যে, রাজাকার, আল বদর ও আল শামসের মতো সংগঠনগুলো জামায়াতের নেতৃত্বে গঠিত হয়েছিল, কিন্তু তিনি বলেন, “এটা ব্যক্তির দায়বদ্ধতা।”
শফিকুর রহমান বলেন, “যদি বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী বা পূর্ব পাকিস্তান জামায়াত ইসলামীর কোনো রেজ্যুলুশনের মাধ্যমে মুক্তিযুদ্ধ-বিরোধী দল গঠন হয়ে থাকে, সেটা অবশ্যই জাতি গ্রহণ করবে।”
তিনি আরও যোগ করেন, “সহিংসতা যদি কেউ করে থাকে, স্বয়ং গোলাম আজম করে থাকলেও তার বিচার হোক।”
জামায়াতের আমির আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের অধীনে জামায়াত নেতাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধাপরাধের বিচারের সত্যতা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন। তিনি বলেন, “৪২ বছর পর এসে সবকিছু জামায়াতের ঘাড়ে ফেলে দেওয়া হলো।”
তিনি এও বলেন যে, মুক্তিযুদ্ধের পর ২৪ হাজার মামলা হয়েছে এবং অনেকেই জেলে গেছেন। “৪২ বছর পর যে লোকগুলোর বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হলো, তাদের বিরুদ্ধে তখন একটা অভিযোগ দিতে পারল না কেন?” – প্রশ্ন তোলেন তিনি।