চন্দ্রদ্বীপ ডেস্ক :: বাজারে দরকারি পণ্যের দাম কমার কোন লক্ষণ নেই। বরং পাইকারি-খুচরা দুই পর্যায়েই কিছু পণ্যের দাম বেড়েছে। গত সপ্তাহের চেয়ে মুরগির দাম বেড়েছে রাজধানীর বাজারগুলোতে। কাঁচামরিচ এখনও ধরা-ছোঁয়ার বাইরে সাধারণ ক্রেতাদের। অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে মানুষের প্রত্যাশা, বাজার নিয়ন্ত্রণে কথার চেয়ে দৃশ্যমান কার্যকরী পদক্ষেপের।
বেসরকারি বিমা প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা মাহফুজুর রহমান। সাপ্তাহিক কেনাকাটা করতে শুক্রবার (১৮ অক্টোবর) সকালে এসেছেন কারওয়ান বাজার। কাঁচা বাজার শেষে বাজার পরিস্থিতি নিয়ে আক্ষেপ করে তিনি বলেন, দোষের ওপর দোষ। আগে যে সরকার ছিল সে জামায়াত-বিএনপির দোষ দিতো। এখন যে সরকার এসেছে সেও আওয়ামী লীগের দোষ দিচ্ছে। কোনো পরিবর্তন আসেনি। শুধু লোক পরিবর্তন হয়েছে। বাজারে তদারকি নেই, কার্যক্রম নেই। যা যার ইচ্ছামত দাম রাখছে।
দরকারি পণ্যের লাগামছাড়া দশায় যে অস্বস্তি ছিল শেখ হাসিনা সরকারের পতনের আগে। পতনের পরেও একই হাল। ক্রেতাদের অভিযোগ, এখনো অদৃশ্য সিন্ডিকেটের জালে অষ্টেপৃষ্ঠে বাঁধা বাজার ব্যবস্থা।
বাজার করতে আসা ক্রেতারা জানান, বাজারে সব কিছুর দাম বেশি। শুধু মানুষের কোনো দাম নেই। ২ থেকে ৩ ধরণের তরকারি কিনলেই ৫শ’ টাকা শেষ। তরকারিতেই যদি এমন টাকা যায় তাহলে মাসে এর পেছনেই খরচ ১৫ হাজার টাকা। বাসা ভাড়া, সন্তানদের লেখাপড়া কিভাবে চলবে। সিস্টেম একই আছে, শুধুমাত্র হাত বদল হয়েছে।
বাজারে প্রায় সব সবজির সরবরাহ স্বাভাবিক থাকলেও ন্যূনতম ৬০ টাকার কমে মিলছে না কোন সবজি। এটি কারওয়ান বাজারের দাম, বলা বাহুল্য এলাকাভিত্তিক বাজারে এই দাম আরও বেশি।
বিক্রেতারা জানান, পেঁপের দাম সবচেয়ে কম, ৪০ টাকা কেজি। আর সব কিছুর দাম বেশি। অন্য সব সবজির দাম ৭০/৮০ টাকার মত। এদিকে দু সপ্তাহের ব্যবধানে বেশ অনেকটা বেড়েছে খোলা তেলের দাম, বিক্রি হচ্ছে ১৫৫ টাকায়। যদিও অপরিবর্তিত আছে বোতলজাত তেলের দাম।
তেল বিক্রেতা জানান, পাম তেলের দাম ৬ থেকে ৭ হাজার টাকা বেশি। আর বোতলজাত তেলের দাম ১০ টাকা করে বৃদ্ধির কথা তবে এখনও বাড়েনি।
শুধু চাল-ডাল-সবজিই নয়, বেড়েছে মুরগির দামও। ২০০ টাকা কেজিতে পাওয়া যাচ্ছে ব্রয়লার মুরগি, যা গত সপ্তাহেও ছিল ১৯০। এছাড়া কেজি ৩০ টাকা বেড়ে সোনালী মুরগি বিক্রি হচ্ছে ৩০০ টাকায়।
মধ্যসত্ত্বভোগীদের দৌরাত্ম ভেঙে কঠোর হাতে বাজার নিয়ন্ত্রণ না করলে পরিস্থিতি আরও খারাপ হবে বলে আশঙ্কা ক্রেতাদের।