চন্দ্রদীপ ডেস্ক : থানায় নিয়ে ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় দুই নেতাকে মারধরের ঘটনায় পুলিশের রমনা জোনের এডিসি পদ থেকে সদ্য প্রত্যাহার হওয়া কর্মকর্তা হারুন অর রশীদকে সাময়িক বরখাস্ত করেছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
সোমবার (১০ সেপ্টেম্বর) বিকেলে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের পুলিশ-১ শাখা থেকে জারি করা এক প্রজ্ঞাপনে তাকে বরখাস্ত করা হয়। রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে প্রজ্ঞাপনে সই করেন সিনিয়র সচিব মো. মোস্তাফিজুর রহমান।
আদেশে বলা হয়- যেহেতু ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত উপপুলিশ কমিশনার হারুন অর রশীদকে জনস্বার্থে সরকারি কর্ম হতে বিরত রাখা আবশ্যক ও সমীচীন। সেহেতু, হারুন অর রশীদকে সরকারি চাকরি আইন, ২০১৮ (২০১৮ সালের ৫৭ নং আইন) এর ৩৯ (১) ধারার বিধান মোতাবেক অদ্য ১১-৯-২০২৩ তারিখ থেকে সরকারি চাকরি হতে সাময়িক বরখাস্ত করা হলো।
আদেশে আরও বলা হয়, সাময়িক বরখাস্তকালীন তিনি পুলিশ অধিদফতরে সংযুক্ত থাকবেন এবং বিধি অনুযায়ী খোরপোষ ভাতা প্রাপ্য হবেন।
গত শনিবার (৯ সেপ্টেম্বর) রাতে ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির বিজ্ঞান বিষয়ক সম্পাদক ও ঢাবির শহীদুল্লাহ হলের সাধারণ সম্পাদক শরীফ আহমেদ মুনিম এবং কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক ও ফজলুল হক হলের সভাপতি আনোয়ার হোসেন নাঈমকে শাহবাগ থানায় তুলে নিয়ে গিয়ে বেধড়ক পেটান এডিসি হারুন।
দেশজুড়ে তোলপাড় করা এই ঘটনায় এডিসি হারুনকে এর আগে রোববার রমনা জোন থেকে প্রত্যাহার করে আর্মস পুলিশ ব্যাটালিয়নে (এপিবিএন) বদলি করা হয়। এই ঘটনা তদন্তে একটি কমিটি করে ডিএমপি। সেই কমিটির তদন্তে অপরাধ প্রমাণিত হওয়ায় তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিল স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
এদিকে সোমবার দুপুরে হারুনকে বরখাস্ত করা হতে পারে- এমন ইঙ্গিত দেন ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) যুগ্ম-কমিশনার (অপারেশনস) বিপ্লব কুমার সরকার। তিনি বলেন, কোনো ব্যক্তির দায় পুলিশ নেয় না। ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় দুই নেতাকে মারধরের ঘটনায় তদন্ত কমিটি প্রতিবেদনের পর কাকে কতটুকু দায়ী করবে, তার ভিত্তিতে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। কেউ চাকরিচ্যুত হতে পারে, কেউ তিরস্কারও হতে পারে।