চন্দ্রদ্বীপ ডেস্ক: ২০০৯ খ্রিষ্টাব্দে আওয়ামী লীগ সরকার শুরু করেছিলো। তার ধারাবাহিকতা থাকছেই। এবারও ভারতীয় দুই প্রকাশককে দেয়া হয়েছে প্রায় ১ কোটি পাঠ্যবই ছাপার কাজ। পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের সিন্ডিকেট এখনো সক্রিয় থাকায় স্বৈরাচার শেখ হাসিনার আমলে নেয়া সিদ্ধান্ত অনুযায়ী প্রাথমিকের প্রায় এক কোটি পাঠ্যবই ছাপবে প্রিতম্বর বুকস প্রাইভেট লিমিটেড ও পাইওনিয়ার প্রিন্টার্স। আন্তর্জাতিক টেন্ডার আহ্বান ও মূল্যায়ন শেষ করে ১৭টি লটে প্রথম, দ্বিতীয় এবং তৃতীয় শ্রেণির বই ছাপার কাজ পেয়েছে ভারতীয় এই দুই প্রকাশক। দুই তিন মাস আগে ডাকা এই অপকর্মের পেছনে ছিলেন দীপু মনির ভাই টিপু এবং পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের সাবেক চেয়ারম্যান অধ্যাপক ফরহাদুল ইসলাম ও এনসিটিবির তথ্যজ্ঞ বেসরকারি কলেজের অবসরপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ রতন কুমার মজুমদার সিন্ডিকেটের পছন্দের মোসা. নাজমা আখতার। যিনি এনসিটিবির সচিব। আরো আছেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষার সচিব ফরিদ আহম্মদ।
গত জুলাই মাসে এই সিন্ডিকেটে যুক্ত হয়েছেন গত ১২ বছর ধরে দেশের মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিকের পুরো পরীক্ষা ব্যবস্থা ধবংসের কারিগর অধ্যাপক রবিউল কবীর চৌধুরী। তিনি এনসিটিবির সদস্য (শিক্ষাক্রম) হিসেবে আছেন জুলাই থেকে। রবিউলের স্ত্রী-সন্তানসহ অনেকেই বিদেশে। সাবেক শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ ও দীপু মনির খুবই পছন্দের লোক রবিউল। প্রকল্পের অধীনে বাংলাদেশ পরীক্ষা উন্নয়ন ইউনিটের প্রধান ছিলেন এক যুগের বেশি।
পাঠ্যপুস্তক ছাপায় বিশেষজ্ঞ শিক্ষা ক্যাডারের একাধিক অধ্যাপক দৈনিক আমাদের বার্তাকে জানান, বিন্দুমাত্র যোগ্যতা ও অভিজ্ঞতা না থাকলেও শুধু ছাত্রলীগ নেত্রী পরিচয়ে আর সিন্ডিকেটের ইশারায় চলার নিশ্চয়তায় পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের সচিব পদে প্রেষণে নিয়োগ পাওয়া দীপু মনি পছন্দের শিক্ষা ক্যাডার কর্মকর্তা নাজমা আখতার এখনো বহাল আছেন, কলকাঠি নাড়ছেন।
নাম না প্রকাশের শর্তে এনসিটিবির একজন কর্মকর্তা বলেন, প্রাথমিকের বই ছাপার সিদ্ধান্তে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নেয় প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়। ওই মন্ত্রণালয়ের সচিব পদে রয়েছেন ঢাকা দক্ষিণের পলাতক সাবেক মেয়র ফজলে নুর তাপসের দীর্ঘদিনের বিশ্বস্ত ও প্রধান নির্বাহী হিসেবে কাজ করা ফরিদ আহম্মদ। ভারতীয় কোম্পানিকে দেয়া কাজ যেনো বাতিল না হয় সেই বিষয়ে অনড় অবস্থানে প্রাথমিকের সচিব। তিনি ২০২২ খ্রিষ্টাব্দ থেকে মন্ত্রণালয়ের সচিব হিসেবে আছেন। ফরিদের মতামত জানার চেষ্টা করেও পাওয়া যায়নি।