ওজন কমানো এবং পুষ্টি পাওয়ার সহজ ও কার্যকর উপায় হলো নিয়মিত ফল খাওয়া। ফলে থাকা উচ্চ ফাইবার, কম ক্যালোরি এবং পুষ্টি উপাদানগুলো ওজন নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে। ফলকে সুষম খাদ্যের অংশ বানিয়ে ফিটনেস বজায় রাখা যায়। আসুন জেনে নিই এমন কিছু ফল, যেগুলো আপনার ওজন কমানোর সঙ্গী হতে পারে—
পেয়ারা
ফাইবার, ভিটামিন সি এবং পটাসিয়াম সমৃদ্ধ পেয়ারা ওজন কমাতে দারুণ সহায়ক। প্রতি ১০০ গ্রামে এটি মাত্র ৬৮ ক্যালোরি সরবরাহ করে। এর উচ্চ ফাইবার ক্ষুধা কমায় এবং অতিরিক্ত খাওয়া রোধ করে। সকালে বা দুপুরের নাস্তায় এক চিমটি বিট লবণ দিয়ে কাঁচা পেয়ারা খেলে বেশি উপকার পাওয়া যায়।
পেঁপে
পেঁপেতে ক্যালোরি কম (১০০ গ্রামে ৪৩ ক্যালোরি) এবং পাপাইন এনজাইম হজমে সহায়তা করে। এর ফাইবার এবং পানির মাত্রা দীর্ঘক্ষণ পেট ভরিয়ে রাখে। সকালের নাস্তায় পেঁপে খান বা খাবারের পরে মিষ্টি হিসেবে তাজা টুকরো খেতে পারেন। স্মুদিতেও এটি যোগ করা যায়।
তরমুজ
৯০ শতাংশ পানি দিয়ে তৈরি তরমুজ হাইড্রেশন বাড়ায় এবং কম ক্যালোরি গ্রহণে সাহায্য করে। প্রতি ১০০ গ্রামে মাত্র ৩০ ক্যালোরি সরবরাহ করা তরমুজে থাকা সিট্রুলাইন ফ্যাট মেটাবলিজম বাড়ায়। এটি প্রাক-লাঞ্চ স্ন্যাক হিসেবে আদর্শ। তরমুজের রস বানিয়ে খেতে পারেন, তবে চিনি যোগ করা থেকে বিরত থাকুন।
আপেল
প্রতি ১০০ গ্রামে ৫২ ক্যালোরি রয়েছে এমন আপেল ফাইবারে সমৃদ্ধ। এটি ক্ষুধা নিবারণ করে এবং অতিরিক্ত স্ন্যাকিং এড়াতে সহায়তা করে। সকালে বা সন্ধ্যায় একটি আপেল খান। কাঁচা খাওয়ার পাশাপাশি ওটমিল বা দইয়ের সঙ্গে আপেল স্লাইস যোগ করেও খেতে পারেন।
কমলা
কমলায় প্রতি ১০০ গ্রামে ৪৭ ক্যালোরি থাকে এবং এটি ভিটামিন সি, পটাসিয়াম ও ফাইবারের চমৎকার উৎস। কমলা পরিপূর্ণ রাখে এবং চর্বি পোড়াতে সহায়ক। সকালের বা বিকেলের নাস্তায় এটি খান। তাজা কমলার রস খেতে পারেন, তবে চিনি মেশাবেন না।
ওজন কমানোর জন্য ফল হলো একটি স্বাস্থ্যকর, টেকসই এবং পুষ্টিকর পছন্দ। সঠিক সময়ে ও সঠিক উপায়ে ফল খাওয়া আপনার ফিটনেস যাত্রাকে সহজ করতে পারে।