বুধবার (১৫ নভেম্বর) সকালে আল-শিফার ভেতর ট্যাংক ও অন্যান্য সাঁজোয়া যান নিয়ে অভিযান শুরু করে দখলদার ইসরায়েলি সেনারা। এই অভিযানে সাধারণ মানুষের ক্ষয়ক্ষতিও হওয়ার শঙ্কা প্রকাশ করে উদ্বেগ জানিয়েছে ফ্রান্স।
দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এ ব্যাপারে এক বিবৃতিতে বলেছে, ‘হামাসের অপরাধের জন্য ফিলিস্তিনি সাধারণ মানুষকে মূল্য দিতে বাধ্য করা উচিত নয়। দুর্দশাগ্রস্ত, আহত এবং অসুস্থ এবং মানবাধিকার কর্মী যারা এমন ঝুঁকিপূর্ণ পরিবেশেও কাজ করছে তাদেরও নয়।’
‘আল-শিফা হাসপাতালে ইসরায়েল যে সামরিক অভিযান চালাচ্ছে সেটি নিয়ে ফ্রান্স সত্যিকার অর্থে উদ্বেগ জানাচ্ছে।’
বিবৃতিতে ফরাসি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় আরও বলেছে, ‘ইসরায়েলকে অবশ্যই আন্তর্জাতিক মানবাধিকার আইন মানতে হবে। যে আইনের মাধ্যমে বিশেষভাবে হাসপাতালের অবকাঠামোকে নিরাপত্তা দেওয়া হয়েছে।’
এরআগে কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো বুধবার ইসরায়েলের ওপর ক্ষোভ ঝাড়েন। তিনি বলেন, আল-শিফা হাসপাতালে যে চিত্র দেখা যাচ্ছে, সেটি খুবই যন্ত্রণাদায়ক। তিনি বলেন, নারী ও শিশুদের রক্ষায় ইসরায়েলকে অবশ্যই আইন মানতে হবে।
ইসরায়েল গত কয়েকদিন ধরে দাবি করে আসছে, আল-শিফার ভেতর হামাসের কমান্ড সেন্টার রয়েছে। তারা ধারণা করেছিল, হাসপাতালের ভেতর ইসরায়েলি জিম্মিদেরও হয়ত আটকে রাখা হয়েছে। তবে সেটির ভেতর কোনো জিম্মিকে পাওয়া যায়নি বলে জানিয়েছে দখলদার ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর এক কর্মকর্তা।
সূত্র: দ্য গার্ডিয়ান