মো: আল-আমিন (পটুয়াখালী): পটুয়াখালীর বাজার গুলোতে শীতকালীন তাজা সবজিতে ভরপুর। তবে শীতকালীন সবজির ভরা মৌসুম হলেও দাম অনেক চড়া। সবজির এমন দামে হতাশ ক্রেতারা।
তারা বলছেন, অন্যান্য বছর শীতের এই সময়ে সবজি ছিল হাতের নাগালে। এবার শীতের কাঁচা বাজারে ছড়িয়েছে উত্তাপ।
সকালে উপজেলার বিভিন্ন কাঁচাবাজার ঘুরে দেখা যায়, প্রতি কেজি বাঁধাকপি ৫০ থেকে ৫৫ টাকা ও ফুলকপি ৭০ থেকে ৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। শসা প্রতি কেজি ৪০ থেকে ৫০ টাকা, ধনিয়া পাতা ৯০ থেকে ৯৫, বেগুন ৭০ থেকে ৮০, মুলা ৫০ থেকে ৫৫, টমেটো ১০০ থেকে ১১০, মরিচ ১২০ থেকে ১৩০, পুঁইশাক ২০ থেকে ২৫, শিম ১০০, বরবটি ৮০, সাদা বেগুন ১০০, তিতকরলা ৬০ থেকে ৭০, কাঁকরোল ৫০ টাকা ও মিষ্টি কুমড়া বিক্রি হচ্ছে ৫০ টাকা কেজি দরে।
ক্রেতা ওমর ফারুক বলেন, শীতে তো শাকসবজির দাম কম হওয়ার কথা। সবজির যে দাম তাতে বাজারে আসলে মনে হয় সবজির খুব সংকট। কিন্তু বাজারে তো ভরপুর সবজি তবুও চড়া দাম কেন? এত টাকা দিয়ে সবজি কিনে সংসার চালানো দায়।
বিক্রেতারা বলছেন, মোটামুটি সব ধরনের সবজির দামই বেড়েছে। শীতকালে বাজারে সাধারণত লাউ, মিষ্টি কুমড়া, ফুলকপি, বাঁধাকপি, দেশি পেঁয়াজ, ভারতীয় পিঁয়াজ, বেগুন, মুলা, লালশাক, পালংশাক, পটোল, ঢেঁড়স, বরবটি, ঝিঙা, পেঁপে, আলু, করলা, কচু, শসাসহ বিভিন্ন ধরনের সবজিতে ভরপুর থাকে। কৃষকের সবজি উৎপাদনে খচর বেড়ে যাওয়ায় খুচরা বাজারে বেড়েছে সবজির দাম।
কুয়াকাটা কাঁচামাল আড়ত মালিক সমিতির সভাপতি মো. ইয়াসিন মুসল্লী বলেন, সবজির দাম অন্যবারের তুলনায় বেশি। তবে সরবরাহের বড় কোনো ঘাটতি নেই। আগের চেয়ে পরিবহন ভাড়া একটু বেড়েছে। এরপরও মৌসুমের এই সময়ে দাম এত বেড়ে যাওয়ার কথা নয়। তবে সামনের দিকে দাম কিছুটা কমতে পারে।