শিরোনাম

কলাপাড়ায় উচ্ছেদ আতঙ্কে ভূমিহীন ১৩৬ পরিবার : পায়রাবন্দরের সড়ক নির্মাণ শুরু

Views: 46

পটুয়াখালী প্রতিনিধি :

পায়রাবন্দরের উন্নয়নের অংশ হিসাবে সড়ক নির্মাণের কাজ শুরু হওয়ায় উচ্ছেদ আতঙ্কে নির্ঘুম রাত কাটাচ্ছেন অসহায় ভূমিহীন ১৩৬টি পরিবার।

কলাপাড়ার পায়রাবন্দর প্রশাসনিক ভবনের গেট থেকে শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম সেতু পর্যন্ত বেড়িবাঁধের পাশে দীর্ঘদিন ধরে বসবাস করে আসছে পরিবারগুলো। ফলে অসহায় দরিদ্র ভূমিহীনরা নতুন করে ভূমিহীন হতে যাচ্ছে।

ভুক্তভোগী পরিবারের সদস্যারা বিভিন্ন প্রকল্পের ক্ষতিগ্রস্থদের মতো পুনর্বাসনের দাবি জানান।

আরো পড়ুন : বাউফলে শিশু নির্যাতনের অভিযোগে ব্যবসায়ী আটক

সরজমিন গিয়ে জানা যায়, সড়ক নির্মাণের জন্য কলোনিসহ বেড়িবাঁধের ঢালে বসবাসকারী ১৩৬টি পরিবারকে উচ্ছেদ করা হবে। কলাপাড়া উপজেলায় পায়রাবন্দরে ক্ষতিগ্রস্থ ৩,৪২৩টি পরিবারকে পর্যায়ক্রমে পুনর্বাসন করা হয়েছে। একইভাবে উচ্ছেদ হতে যাওয়া পরিবারগুলো যথাযথ কর্তৃপক্ষের কাছে পুনর্বাসন ও ক্ষতিপূরণের দাবি জানিয়েছেন। বাস্তুভিটাহীন হওয়ার কারণে সরকার বসবাসের জন্য ইটবাড়িয়া গ্রামে আন্ধারমানিক নদীর পাড়ে বেড়িবাঁধের ঢালে বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ডের জমিতে কলোনি করে বন্দোবস্ত দিয়েছিলেন। যার পর থেকে দীর্ঘদিন ধরে বেড়িবাঁধের ঢালে বসবাস করে আসছে পরিবারগুলো।
স¤প্রতি পায়রাবন্দরের প্রথম টার্মিনাল থেকে পায়রাবন্দর প্রশাসনিক ভবন হয়ে ঢাকা-কুয়াকাটা আঞ্চলিক সড়কের সঙ্গে যুক্ত হওয়ার বিকল্প সড়ক হিসাবে পায়রা বন্দরের গেট থেকে শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম সেতু পর্যন্ত বেড়িবাঁধের উপর রাস্তা নির্মাণ করা হচ্ছে।

ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারের সদস্য রাবেয়া বেগম বলেন, আমাদের জায়গা জমি কিছুই ছিল না, তাই সরকার এখানে বসবাস করতে দিয়েছে। এখন আমাদের প্রতিদিন ঘর ভাঙ্গার জন্য হুমকি দিয়ে আসছে। সরকারি জায়গায় আছি তাই টাকা পয়সা কিছুই দেবে না। ঘর ভেঙে না নিলে বালি দিয়ে আটকিয়ে দেবে।

কলাপাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. রবিউল ইসলাম জানান, প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা রয়েছে কোনো পরিবার ভূমিহীন থাকবে না। পায়রা বন্দর ও যারা ক্ষতিগ্রস্থ আছে তাদের সঙ্গে সম্মিলিতভাবে কথা বলে সুষ্ঠু সমন্বয়ের মাধ্যমে সাময়িকভাবে এবং পরবর্তী সময় স্থায়ীভাবে পুনর্বাসনের ব্যবস্থা নেয়া হবে।

image_pdfimage_print

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *