শিরোনাম

কলাপাড়ায় তরমুজ ক্ষেতে পাইকারদের হুমড়ি

Views: 50

পটুয়াখালী প্রতিনিধি :

মুসলিম সম্প্রদায়ের অন্যতম ইবাদতের মাস পবিত্র মাহে রমজান। তবে তেজদীপ্ত রোদেলা আবহাওয়ায় সংযমী হতে একটু বেশিই ক্লান্ত হয়ে পড়ছেন রোজদাররা। ফলে দিন শেষে ইফতারিতে পিপাসা মেটাতে হরেক রকম অয়োজন করে থাকেন অনেকেই। এর মধ্যে জনপ্রিয়তার তালিকায় অন্যতম হচ্ছে জিভে জল আনা রসালো তরমুজ।

তবে সম্প্রতি রোজাকে কেন্দ্র করে এর চাহিদা বেড়ে যাওয়ায় ক্ষেতে গিয়ে ইফতারির এই অনুষঙ্গের খোঁজ করছেন বড় ক্রেতারা। ফলে তরমুজ চাষিদের মাঠে হুমড়ি খেয়ে পড়ছেন পাইকাররা।

চলমান মাহে রমজানে মিষ্টি স্বাদের রসালো তরমুজের চাহিদা বেড়েছে কয়েকগুণ। তাই পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় বিস্তীর্ণ তরমুজ আবাদের মাঠজুড়ে এখন ব্যস্ত সময় পার করছেন কৃষকরা। আর তরমুজ মৌসুমেই রমজান থাকায় বেশ দামও হাঁকাতে পারছেন চাষিরা। তবে দূর-দূরান্ত থেকে আগত পাইকারদের ভিড়ে এক প্রকার তরমুজশূণ্য স্থানীয় বাজারগুলো।

সরজমিনে ঘুরে দেখা যায়, রোদের তীব্রতা উপেক্ষা করে চাষিদের ক্ষেত থেকেই তরমুজ ট্রাকে তুলে নিচ্ছেন পাইকাররা। আর অর্থের বিনিময়ে এই কাজে সহায়তা করছেন স্থানীয় শ্রমিকরা।

উপজেলার টিয়াখালী ইউপির দক্ষিণ টিয়াখালী গ্রামের তরমুজ ক্ষেতে কথা হয় চাষি রুহুল গাজীর সঙ্গে। তিনি জানান, তিনটি ক্ষেতে মোট ৪১ একর জমিতে বিট ফ্যামিলি এবং ড্রাগন প্রজাতির তরমুজ চাষ করেছেন তিনি। এই মৌসুমে উৎপাদন ব্যয় বাবদ দৈনিক ১০ জন শ্রমিক দিয়ে ৪৬ লাখ টাকা খরচ করেছেন এই চাষি। ফলে সাড়ে চার মাসে ঘাম ঝরানো সঠিক পরিচর্যায় পরিপক্ক ফসল পেয়েছেন তিনি। এখন তিনটি ক্ষেত বিক্রি করেছেন ৭১ লাখ টাকায়। কোনো রোগবালাই না থাকায় রমজানের মধ্যে বেশ বাজার মূল্য পেয়েছেন বলে জানান এই উদ্যোক্তা।

ভোলা থেকে এই চাষির তরমুজ কিনতে আসা পাইকার মাসুম বিল্লাহ জানান, ৪৬ লাখ টাকায় রুহুল গাজীর ২৫ একরের একটি ক্ষেত কিনেছেন তিনি। আরো চাহিদা থাকলেও তরমুজ সঙ্কটে নিতে পারেননি। তবে শ্রমিক ও পরিবহন খরচ বাদ দিয়েও ৬ লাখ টাকা লাভ হবে তার।

এছাড়া রসালো এই মৌসুমি ফল কিনতে আগত পাইকাররা বিভিন্ন কৃষকের ক্ষেতে হন্যে হয়ে ঘুরছেন বলে জানান বিনিয়োগকারী।

কলাপাড়া উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আরাফাত হোসেন জানান, চলতি মৌসুমে এই উপজেলায় ১৩শ ২৩ হেক্টর জমিতে তরমুজ আবাদ করেছেন চাষিরা। তবে এর মধ্যে ধানখালী, বালীয়াতলী ও টিয়াখালীতে সবচেয়ে বেশি তরমুজের ফলন হয়েছে।

এবছর কৃষকরা ভালো দাম পাওয়ার পাশাপাশি তরমুজ চাষে স্থানীয় সরকারের লক্ষমাত্রা ছাড়িয়ে গেছে বলেও জানান তিনি।

 

image_pdfimage_print

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *