শিরোনাম

কলাপাড়ায় দখলদার মুক্ত হলো মাছের পাইকারি বাজার

Views: 60

পটুয়াখালী প্রতিনিধি :: অবশেষে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার হস্তক্ষেপে দখলমুক্ত হল পটুয়াখালীর কলাপাড়া পৌরশহরের বাসষ্ট্যান্ড সংলগ্ন বড় পাইকারী মাছের বাজার। দীর্ঘদিন ধরে নিজেদের রেকর্ডীয় জমি দাবী করে টিয়াখালী ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান সৈয়দ মশিউর রহমান শিমু মাছ বাজারটি থেকে ভিটি ভাড়ার নামে প্রতিদিন ৫ থেকে ১০ হাজার টাকা করে আদায় করতো। এর কিছু অংশ চৌরাস্তা বাসষ্ট্যান্ড জামে মসিজদ পেলেও সরকার এ বাজার থেকে কোন রাজস্ব পেতনা। উপজেলা প্রশাসন পাইকারী মাছ বাজারটি দখলমুক্ত ঘোষনা করে বাজার থেকে আদায়কৃত অর্থ রাজস্ব খাতে জমা দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।

উপজেলা প্রশাসনের এমন সিদ্ধান্তে খুশী স্থানীয় সাধারন মানুষ সহ খুচরা, পাইকারী মাছ বিক্রেতারা। তারা ইউএনও’র এমন সিদ্ধান্তকে সাধুবাদ জানিয়েছেন।

জানা গেছে, কলাপাড়া-পটুয়াখালী মহাসড়কের পশ্চিম পাশে অবস্থিত বড় পাইকারী মাছ বাজারে ২৫-৩০টি মাছের আড়ৎ রয়েছে। বাজারটিতে প্রতিদিন ভোররাত থেকে শুরু হয় লক্ষ লক্ষ টাকার নিলামে মাছ বেচা কেনা হয়। শতকরা ৫ টাকা হারে ক্রেতা, বিক্রেতা উভয় পক্ষের কাছ থেকে খাজনার নামে টাকা উত্তোলন করা হতো।

আরো পড়ুন : পটুয়াখালীতে মাদক অভিযানে গিয়ে ৩ পুলিশ সদস্য আহত

এছাড়া চট প্রতি দিনে ২০০ টাকা। এভাবে প্রতিদিন ৫-১০ হাজার টাকা আদায় করা হতো এ বাজার থেকে, প্রতিমাসে যার অংক দাড়ায় দেড় থেকে তিন লক্ষ টাকা।

সূত্রটি আরও জানায়, মহাসড়কের পাশের মাছ বাজারের ওই জমি সর্বশেষ বিএস জরিপে বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন উন্নয়ন বোর্ডের নামে জরিপ হয়। যা এক সময় পাউবো থেকে ব্যক্তি নামে বন্দোবস্ত দাবী করা হলেও আদালত থেকে ঘোষনামূলক ডিক্রী ছাড়া বর্তমানে এর কোন ভিত্তি নেই।

টিয়াখালী ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান সৈয়দ মশিউর রহমান শিমু বলেন, চৌরাস্তা মাছ বাজারের ওই জমি আমাদের ক্রয়কৃত রেকর্ডীয় জমি। আমরা আইনী মোকাবেলার জন্য আদালতে যাবো।

টিয়াখালী ইউনিয়নের বর্তমান চেয়ারম্যান মাহমুদুল হাসান সুজন মোল্লা বলেন, মাছ বাজারটি দখলমুক্ত হওয়ায় সাধারন জনগন খুশী। টিয়াখালী ইউনিয়নের জনসাধারনের পক্ষ থেকে উপজেলা প্রশাসনকে ধন্যবাদ জানাই।

কলাপাড়া ইউএনও মো: রবিউল ইসলাম বলেন, উপজেলা প্রশাসন এখন থেকে ওই মাছ বাজার থেকে রাজস্ব আদায় করে সরকারী কোষাগারে জমা দেবে। এতে কেউ বিপত্তির চেষ্টা করলে কঠোর পদক্ষেপ নেয়া হবে।

তিনি আরও বলেন, বাজার ব্যক্তিগত কিংবা সরকারী জমি যেখানেই হোক না কেন রাজস্ব আদায় করার বৈধতা কেবল সরকারের। তবে সরকারের কাছ থেকে শর্ত সাপেক্ষে ইজারা নিয়ে ব্যক্তি পর্যায়ে খাজনা আদায় করা যেতে পারে।

image_pdfimage_print

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *