পটুয়াখালী প্রতিনিধি :: পটুয়াখালীর কলাপাড়ার মহিপুরে জামায়াত নেতা ও ধর্ষণ মামলার আসামি আবু হানিফের মিথ্যা মামলা ও ষড়যন্ত্রে দিশেহারা হয়ে পড়েছে মহিপুর আওয়ামী লীগ সভাপতি মালেক আকন ও এলাকার দরিদ্র মানুষেরা। তার অবৈধ একাধিক ব্যবসা নির্বিঘ্নে করতে ও পাওনা টাকা না দেয়ার ফন্দি হিসেবে তাদের গ্রামছাড়া করতে এ মামলা দেয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ করেন মহিপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ নেতারা।
আজ (শুক্রবার) সকাল ১১টায় কলাপাড়া প্রেসক্লাবের ইঞ্জিনিয়ার তৌহিদুর রহমান মিলনায়তনে সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে এ অভিযোগ করেন মহিপুর আওয়ামী লীগ সভাপতি মালেক আকন।
লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, জামায়াত নেতা আবু হানিফ, ইউনুস সিকদার ও ইউনুস হাওলাদার দীর্ঘদিন একসাথে জমি ক্রয়-বিক্রয়ের ব্যবসা করতেন। তাদের মধ্যে আর্থিক লেনদেন নিয়ে ঝামেলার সৃষ্টি হয়। এবিষয়ে মাননীয় ত্রাণ ব্যবস্থাপনা ও দূর্যোগ প্রতিমন্ত্রী মহোদয়ের নিকট একটি অভিযোগ আসে। তিনি স্থানীয় মহিপুর সদর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের নেতৃবৃন্দের কাছে বিষয়টি সমাধানের নির্দেশ প্রদান করেন। মন্ত্রী মহোদয়ের নির্দেশে বিষয়টি সমাধানের জন্য আবু হানিফসহ সকলকে ডাকলে আবু হানিফ কিছুদিনের সময় চেয়ে চলে যায়। পরবর্তীতে তিনি আমাদের বিরুদ্ধে মিথ্যে হামলা ও চাঁদা দাবির অভিযোগ করে মামলা করে।
আরো পড়ুন : সারা বছরই মুখর থাকে ইয়ার উদ্দীন দরবার
মহিপুর আওয়ামী লীগ সভাপতি মালেক আকন বলেন, কারিতাস ভবনের পাশে যে বিল্ডিং নির্মানের কাজ বন্ধ করে দেওয়ার কথা সে বলেছে তার মালিক আবু হানিফ নয়। ভবনের নির্মান কাজ চলমান রয়েছে। এ ভবনের মালিক ইব্রাহীমের কোন অভিযোগ নেই। রাইচ মিল ও তেলের মিল বন্ধ করে দেয়া হয়েছে এটা সম্পূর্ন মিথ্যা। এ প্রতিষ্ঠানের মালিক ইউনুস সিকদারের কোন অভিযোগ নেই। অথচ এসব মিথ্যা মনগড়া তথ্য দিয়ে আমাদের বিরুদ্ধে চাদাবাজি মামলা দায়ের করেছে।
আরো পড়ুন : ঢাকা-গলাচিপা নৌ-রুটে ১ বছর পর লঞ্চ চলাচল শুরু
তিনি আরো বলেন, আবু হানিফ ছাত্র জীবনে ইসলামি ছাত্র শিবিরের সদস্য থেকে পরবর্তীতে জামায়াতের রাজনীতির সাথে জড়িত। সরকার বিরোধী অপতৎপরতায় লিপ্ত থেকে একের পর এক মিথ্যা ভিত্তিহীন নাটকীয় কাহিনীর অবতারনা করে মামলা মোকদ্দমা দিয়ে মানুষকে হয়রানি করে আসছে। ইতিপূর্বে তিনি একটি ধর্ষন মামলায় এক মাস জেলহাজত বাস করেন। তার রয়েছে একাধিক অবৈধ ব্যবসা। মহিপুর বাজারে তার আবাসিক হোটেল থেকেই এসব ব্যবসা পরিচালনা করা হয়। এর প্রতিবাদ ও জামায়াত নেতা আবু হানিফের শাস্তি দাবি করেন মহিপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ নেতারা।