শিরোনাম

কলাপাড়ায় মাশরুম চাষে যুবকের ভাগ্য বদল

Views: 45

মো: আল-আমিন (পটুয়াখালী): পটুয়াখালীতে প্রথমবারের মতো বানিজ্যিকভাবে মাশরুম চাষে ভাগ্য ফিরেছে এক যুবকের। বর্তমানে তার খামারে রয়েছে ১ হাজার খড়ের স্পন প্যাকেট। আর এ স্পন থেকে প্রাকৃতিকভাবে জন্মানো মাশরুম বিক্রি করে মাসে আয় করছেন প্রায় লাখ টাকা। বর্তমানে এ যুবকের সাফল্য পুরো এলাকাজুড়ে সাড়া ফেলেছে।

পটুয়াখালী পৌর শহরের দক্ষিন কালিকাপুর এলাকার সুশান্ত মজুমদারের ছেলে সৌমিত্র মজুমদার শুভ। ২০১৭ সালে এলএলবি পাশ করে ঢাকায় এক আইনজীবির সহকারী হিসেবে কাজ শুরু করেন। ২০১৯ সালের করোনাকালীন সময়ে তেমন একটা আয় না থাকায় এলাকায় ফিরে আসেন তিনি। বেশ কিছুদিন বেকার থাকার পর জামার্নি খালাতো বোনের পরামর্শে আগ্রহী হন মাশরুম চাষে। পরে সাভারের জাতীয় মাশরুম উন্নয়ন সেন্টারে দুই মাসের প্রশিক্ষন গ্রহন করেন। ২০২০ সালের এপ্রিল মাসে কলাপাড়া উপজেলার নীলগঞ্জ ইউনিয়নের নবাবগঞ্জ গ্রামের খালার বাড়িতে ৫০ টি স্পন প্যাকেট দিয়ে শুরু করেন মাশরুম চাষ। ফলন ভালো হওয়ায় ওই বাড়ির ২০ শতাংশ জমিতে দুটি সেডের মাধ্যমে বানিজ্যিকভাবে গড়ে তোলেন মাশরুম খামার। বর্তমানে তার খামার থেকে প্রতিনিয়ত ১৫ কেজি করে মাশরুম পাচ্ছেন তিনি। তাতেও মেটাতে পারছেননা স্থানীয় চাহিদা।

সৌমিত্র মজুমদার শুভ (মাশরুম চাষী) বলেন, সরকারী সহায়তা ও স্বল্প সুদে ঋণ সহায়তা পেলে এ খামার বৃদ্ধির মাধ্যমে বেকার যুবকদের কর্মসংস্থান সৃষ্টি করতে পারবেন বলে দাবি।

খামার পরিচর্যাকারী কর্মীরা বলেন, এ কাজে তেমন একটা পরিশ্রম নেই বললেই চলে ।

ভাই জীবন বিশ্বাস ও জামার্নি প্রবাসী খালাতো বোন রত্না বিশ্বাস বলেন, শুভর এ সাফল্য দেখে আমরা স্বজনরা গর্বিত ।

কৃষিবিদ মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম বলেন, আমাদের দেশের মানুষ মাশরুমের গুণ সম্পর্কে তেমন একটা জানেন না। মাসরুম সম্পর্কে আমাদের অজ্ঞতা রয়েছে। অনেকেই মনে করে এটা একটা ব্যাঙের ছাতা বিষাক্ত জাতীয় কিছু কিন্তু এটা পুষ্টিকর খাবার এর পুষ্টিগুণ অনেক বেশি জানালেন জেলার এই কৃষিবিদ ।

image_pdfimage_print

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *