কলাপাড়া পৌরসভার জলাধারগুলো বর্তমানে ময়লা-আবর্জনার ভাগাড়ে পরিণত হয়েছে। নাগরিক সচেতনতার অভাব ও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের উদাসীনতার কারণে এখানকার পুকুর এবং খালগুলো দিন দিন সংকটের মুখে পড়ছে। বিশেষত, জলাধারগুলোর অবৈধ ভরাট ও বিক্রির ফলে পরিবেশ ভারসাম্যহীন হয়ে পড়েছে, যার ফলে পানির অভাব এবং অন্যান্য পরিবেশগত সমস্যা দেখা দিচ্ছে। এই পরিস্থিতি যদি অব্যাহত থাকে, তবে ভবিষ্যতে অগ্নিনির্বাপণ এবং পানির সরবরাহ ব্যবস্থা কঠিন হয়ে পড়বে।
পটুয়াখালী বরগুনা মৎস চাষ সম্প্রসারণ প্রকল্পের জরিপ অনুযায়ী, কলাপাড়া পৌরসভায় একসময় ১৭ হাজারের বেশি পুকুর ছিল, কিন্তু এখন এর অর্ধেক পুকুর ভরাট হয়ে গেছে। ২০১৫ সালে প্রথম শ্রেণির মর্যাদা লাভ করা পৌরসভাটি বর্তমানে একটি পানির সংকট অঞ্চলে পরিণত হয়েছে।
স্থানীয় কর্তৃপক্ষ জানায়, এখানে অন্তত চার হাজার পুকুর ভরাট করা হয়েছে এবং এর ফলে গোসল, রান্না, ও অন্যান্য দৈনন্দিন কাজে ব্যবহৃত পানি ব্যাপকভাবে কমে গেছে। অধিকাংশ পুকুর ভরাটের ফলে ভূ-উপরিভাগের পানি সংকটে জনজীবনে অস্বস্তি এবং ডায়রিয়া ও পানিবাহিত রোগের প্রকোপ বেড়েছে।
কলাপাড়া পৌরসভার পুকুরগুলোর বড় অংশই অবৈধভাবে ভরাট হচ্ছে এবং এর ফলে পরিবেশের অবস্থা দিন দিন খারাপ হচ্ছে। এ অবস্থা শুধুমাত্র পানির সংকট নয়, বরং অগ্নিনির্বাপণের ক্ষেত্রে গুরুতর ঝুঁকির সৃষ্টি করছে।
এ ব্যাপারে কলাপাড়া পৌরসভার নির্বাহী কর্মকর্তা মো. রবিউল ইসলাম জানান, তারা পুকুর ও খালগুলো সংরক্ষণে পদক্ষেপ নিতে কাজ করবেন। তবে এখনো আইনানুগ ব্যবস্থা পুরোপুরি কার্যকর হয়নি। একইভাবে, এলাকার জনগণও পানি সরবরাহের জন্য অনবরত সংগ্রাম করছে।
বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, যদি এই ধারা অব্যাহত থাকে, তবে কলাপাড়া পৌরসভায় পরিবেশগত বিপর্যয়ের পাশাপাশি স্বাস্থ্যজনিত সমস্যা আরও বাড়তে পারে।