কাউখালী উপজেলার সড়ক ও জনপথ বিভাগের রাস্তার ওপরে নির্মিত একটি বাড়ি স্থানীয়দের জন্য মরণ ফাঁদে পরিণত হয়েছে। পিরোজপুরের সঙ্গে নেছারাবাদ উপজেলার একমাত্র সড়ক যোগাযোগের রুটটি কাউখালী উপজেলা দিয়ে চলে যাওয়ার কারণে, এই রাস্তা প্রতিদিন হাজার হাজার মানুষ, বিভিন্ন যানবাহন এবং স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীদের চলাচলের জন্য ব্যবহৃত হয়। কিন্তু রাস্তার মাঝখানে অবস্থিত বাড়িটি যাতায়াতকারীদের জন্য বিপদজনক হয়ে উঠেছে। বাড়িটির কারণে রাস্তার অপর পাশ থেকে আসা যানবাহন বা পথচারী দেখা না যাওয়ায় প্রায়ই ঘটছে দুর্ঘটনা। এতে অনেকেই পঙ্গুত্বের শিকার হচ্ছেন।
এদিকে, রাস্তা থেকে বাড়িটি সরানোর জন্য সড়ক ও জনপথ বিভাগ আগ্রহী হলেও, মামলার কারণে বাড়িটি সরানো সম্ভব হয়নি। সড়ক বিভাগের কর্মকর্তারা জানিয়েছে, বাড়ি মালিককে বারবার সরানোর অনুরোধ জানানো হয়েছে, কিন্তু বাড়ির মালিক মাওলানা নুরুল হক আদালতের সিদ্ধান্তের ওপর নির্ভর করছেন। ফলে সড়ক বিভাগের পক্ষ থেকে বাড়িটি সরানোর জন্য চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।
স্থানীয় অটোচালক লিটন হোসেন বলেন, “রাস্তার মাঝখানে বাড়িটি থাকার কারণে আমাদের গাড়ি চালাতে অনেক সমস্যা হচ্ছে। সামনের অংশ দেখতে না পেয়ে প্রায়ই দুর্ঘটনা ঘটে।” একই ধরনের সমস্যা বাস ও ট্রাক চালকরাও সম্মুখীন হচ্ছেন। তারা জানান, বাড়িটির কারণে সামনের রাস্তায় কিছু দেখা যায় না, যার ফলে মারাত্মক দুর্ঘটনা ঘটার আশঙ্কা তৈরি হয়।
পিরোজপুর সড়ক বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী তানভীর আহমেদ জানিয়েছেন, রাস্তার ওপর থেকে বাড়িটি অপসারণের জন্য সব জটিলতা নিরসন করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন তারা।