বরিশাল অফিস :: পিরোজপুরের কাউখালীত তাপদাহে প্রায় দুই শতাধিক মুরগি খামারীরা আতঙ্কের মধ্যে রয়েছে। অতিরিক্ত তাপদাহের ফলে খামারের মুরগিগুলো মৃত্যুর ঝুঁকিতে রয়েছে। মুরগি প্রাপ্ত বয়স ও বিক্রয় উপযুক্ত হওয়ার পূর্বে কম মূল্যে পাইকারি ব্যবসায়ীদের কাছে মুরগি বিক্রয় করার হিড়িক লেগেছে।
মুরগির খামারি উপজেলার দাশেরকাঠী গ্রামের মাহবুব হোসেন জানান, অতিরিক্ত গরমের কারণে লোকশান দিয়ে তার খামারে সকল মুরগি বিক্রি করে দিয়েছেন এবং নতুন করে জেনারেটরের মাধ্যমে অতিরিক্ত ফ্যান ব্যবহার করে ছোট বাচ্চা মুরগী আবার খামারে তুলেছেন। ইতোমধ্যে অনেক খামারিরা এভাবে কম মূল্যে বিক্রি করায় লক্ষ লক্ষ টাকায় লোকশানে পড়ছেন। আর যারা বিক্রিয় করছেন না তাদের মুরগিগুলো মৃত্যুর ঝুঁকিতে রয়েছে।
উপজেলার দাসেরকাঠি গ্রামের খামারের মালিক সুলতান হোসেন, সোনাকুর গ্রামের শ্যামল ও হরিণধারা গ্রামের রিপন জানান, প্রতিদিন তাদের মুরগি মারা যাচ্ছে, এ কারণে লোকসানে আমাদের মুরগিগুলো বিক্রি করতে হচ্ছে। পাইকারি ব্যবসায়ীরা কিনে তারা ঠিকই লাভ করছে। অল্প আয়ের খামারিরা বলেন আমরা যে পুঁজি দিয়ে ব্যবসা শুরু করেছি এখন আমাদের পুঁজি প্রায় শেষ পর্যায়ে, আমাদের পথে নামা ছাড়া আর কোন উপায় নেই।
এছাড়াও উপজেলার সয়না রঘুনাথপুর ইউনিয়নের গবাদিপশুর এক খামারির অতিরিক্ত তাপদাহের ফলে হিট স্টোকে দুটি উন্নত জাতের গরু মারা গেছে। জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা মোঃ রানা মিয়া জানান, খামারিদেরকে মোবাইলে এসএমএস এর মাধ্যমে পরামর্শ দেওয়া হয়েছে এবং লিফলেট প্রদান করে করনিয় বিষয়গুলো জানিয়ে দেওয়া হয়েছে।