পটুয়াখালী প্রতিনিধি :: পটুয়াখালীর মির্জাগঞ্জে বিয়ের দাবিতে প্রেমিকের বাড়িতে অবস্থান নিয়েছেন এক তরুণী। প্রেমিক কাউসার খানের সঙ্গে বিয়ে না হলে আত্মহত্যার হুমকিও দিয়েছেন তিনি।
মঙ্গলবার (২৫ জুন) সকালে মির্জাগঞ্জ উপজেলার পিঁপড়াখালি গ্রামে প্রেমিকের বাড়িতে ওই তরুণীকে অবস্থান নিতে দেখা যায়। তবে প্রেমিকার এমন অনড় অবস্থানের কারণে বাড়ি থেকে লাপাত্তা প্রেমিক ও তার পরিবার।
প্রেমিক কাউসার খান একই গ্রামের বাসিন্দা। তিনি ঢাকায় একটি বেসরকারি কোম্পানিতে চাকরি করেন।
জানা গেছে, প্রেমিক কাউসার খানের সঙ্গে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে (ফেসবুক) পরিচয় হয় ওই তরুণীর। দীর্ঘ সাড়ে তিন বছর ধরে তাদের মধ্যে যোগাযোগ ছিল। বিয়ের আশ্বাস দিলে তাদের মধ্যে শারীরিক সম্পর্কও হয়। পরে বিয়ের কথা কাউসারকে জানালে তিনি বিভিন্নভাবে এড়িয়ে যান।
সোমবার (২৪ জুন) রাতে আলিম পড়ুয়া ওই তরুণী বিয়ের দাবিতে প্রেমিকের বাড়িতে অবস্থান নেন। এ সময় মেয়ের অবস্থান টের পেয়ে প্রেমিক কাওসার ও তার বাবা-মা সটকে পড়েন।
আরো পড়ুন : ২৪ ঘণ্টার ব্যবধানে কলাপাড়ায় ফের ধরা পড়ল রাসেলস ভাইপার
প্রেমিকার অভিযোগ, আমাদের এলাকায় আসা-যাওয়া ছিল কাউসারের। সেখান থেকে পরিচয়। পরে প্রেমের সম্পর্ক তৈরি হয়। গত ৩ বছর থেকে আমরা কুয়াকাটাসহ বিভিন্ন এলাকায় ঘুরতে গেছি। সেখানে বিয়ের আশ্বাসে এক প্রকার আমাকে জোর করে ধর্ষণ করে সে। পরে আমাকে কাউসার বিভিন্নভাবে ভয়ভীতি দেখিয়ে শারীরিক সম্পর্ক করত।
সে বলে, এ বিষয়ে যদি তাকে আমি বাধা দেই, তাহলে সে আমার গোপন ভিডিও ভাইরাল করে দেবে। তাকে বিয়ের জন্য চাপ দিলে সে এড়িয়ে যায়।
তিনি আরও বলেন, পরে এ বিষয়টি কাউসারের দুলাভাই বশির মেজদাকে জানালে প্রথমে তিনি আশ্বাস দিলেও পরে আমাকে সবকিছু ভুলে যেতে বলেন এবং এ বিষয়ে বাড়াবাড়ি করতে নিষেধ করেন। এরপর বাধ্য হয়ে আমি কাউসারের বাড়িতে অকস্থান নেই। ও যদি আমাকে বিয়ে না করে তাহলে আমি আত্মহত্যা করব বলে জানান ওই তরুণী।
এলাকাবাসী জানান, এমন একটি ঘটনা দুঃখজনক। বর্তমানে মেয়েটি কাউসারের বাড়িতে অবস্থানে রয়েছেন।
এ বিষয়ে বক্তব্য নিতে প্রেমিক কাউসার ও তার দুলাভাই বশির মেজদার মোবাইল ফোনে একাধিকবার কল করা হলেও তিনি তা রিসিভ করেননি।
এ বিষয়ে পটুয়াখালী মির্জাগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. হাফিজুর রহমান বলেন, আমি মৌখিকভাবে বিষয়টা শুনেছি, তবে এখন পর্যন্ত কোনো অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে অবশ্যই আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।