শিরোনাম

কিস্তির টাকা পরিশোধ করেও রক্ষা পায়নি গৃহবধু

Views: 48

বরিশাল অফিস :: কিস্তির সমূদয় টাকা পরিশোধ ও মামলা উত্তোলনের টাকা দিয়েও শেষ রক্ষা হয়নি চার সন্তানের জননী গৃহবধু সুমি বেগমের (৩৫)। থানা পুলিশ গ্রেপ্তার করে আদালতে সোর্পদ করেছে সুমি বেগমকে। এ ঘটনায় এলাকায় তীব্র ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। ঘটনাটি জেলার গৌরনদী উপজেলার শাহাজিরা গ্রামের। ভুক্তভোগি গৃহবধু ওই গ্রামের দিনমজুর হাফিজুল বয়াতীর স্ত্রী।

রোববার  দুপুরে গৃহবধু সুমি বেগমের দেবর হামিদুল ইসলাম অভিযোগ করে বলেন, গত একবছর পূর্বে উদ্দীপন নামের এনজিও’র উজিরপুর শাখা থেকে এক লাখ টাকা ঋণ উত্তোলন করেন সুমি বেগম। অভাবের কারণে ঋণের ৩২ হাজার টাকার কিস্তি দিতে না পাড়ায় গত সাত মাসপূর্বে সুমি বেগমের নামে বরিশাল আদালতে মামলা দায়ের করে উদ্দীপনের উজিরপুর শাখার ম্যানেজার হাসান মল্লিক।

পরবর্তীতে স্থানীয়ভাবে সালিশ মীমাংসা করে ঋণের ৩২ হাজার টাকা এবং মামলা উত্তোলনের জন্য আরো আট হাজার টাকা এনজিও’র ম্যানেজার হাসান মল্লিক ও কর্মী মনির হোসেনের কাছে দেয়া হয়। অভিযোগ করে তিনি বলেন, এনজিও’র পাওনাকৃত টাকা এবং মামলা উত্তোলনের টাকা দেওয়ার পরেও হয়রানির জন্য মামলা উত্তোলন করেনি এনজিও’র ম্যানেজার হাসান এবং কর্মী মনির।

পরবর্তীতে ওই মামলায় আদালত থেকে সুমি বেগমের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়। গৌরনদী মডেল থানা পুলিশ শনিবার দুপুরে নিজবাড়ি থেকে সুমি বেগমকে গ্রেপ্তার করে রোববার  সকালে আদালতে সোর্পদ করেন। ওইদিন দুপুরে আদালত থেকে তিনি (সুমি) জামিনে বেরিয়েই অসুস্থ হয়ে পরেছেন। কিস্তির টাকা পরিশোধের পরেও মামলা উত্তোলন না করায় ওই দুই এনজিও কর্মীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন ভুক্তভোগি পরিবার।

এ ব্যাপারে এনজিও উদ্দীপনের মাঠ কর্মী মনির হোসেন বলেন, সমূদয় টাকা পরিশোধের পরেও মামলা উত্তোলনের জন্য আট টাকা ম্যানেজারের কাছে দেওয়া হয়েছে। তারপরেও কেন মামলা প্রত্যাহার করা হয়নি তা ম্যানেজারই ভালো বলতে পারবেন।

ম্যানেজার হাসান মল্লিক বলেন, মামলা প্রত্যাহারের কাগজপত্র প্রস্তুত করা হলেও তা আদালতে জমা দেওয়া হয়নি। এতে আমাদের কোন দায়িত্ব অবহেলা নেই। তারপরেও ভূক্তভোগি সুমি বেগমের পরিবারের সাথে যোগাযোগ করে বিষয়টি সুরাহা করা হবে বলেও তিনি উল্লেখ করেন।

image_pdfimage_print

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *