বরিশালের কীর্তনখোলা নদীতে বাল্কহেড ও স্পিডবোটের সংঘর্ষে নিখোঁজ যাত্রী সজল দাসের (৩০) লাশ আট দিন পর উদ্ধার করেছে নৌ-পুলিশ। এই ঘটনায় এ পর্যন্ত স্পিডবোট চালকসহ পাঁচজনের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।
আজ শুক্রবার বেলা সাড়ে ৩টার দিকে দপদপিয়া সেতুর সংলগ্ন কীর্তনখোলা নদীতে ভাসমান অবস্থায় সজল দাসের লাশ দেখতে পায় স্থানীয়রা। পরে বরিশাল সদর নৌ থানার ওসি সনাতন চন্দ্র সরকারের নেতৃত্বে পুলিশ লাশ উদ্ধার করে। নিহত সজল দাস বাবুগঞ্জ উপজেলার রহমতপুরের দুলাল দাসের ছেলে।
ওসি সনাতন চন্দ্র সরকার জানান, পরিবারের সদস্যরা এসে সজল দাসের মৃতদেহ শনাক্ত করেছেন। নিয়ম অনুযায়ী মৃতদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তরের প্রক্রিয়া চলছে।
দুর্ঘটনার বিবরণ ও উদ্ধার কার্যক্রম
গত ৫ ডিসেম্বর বিকেলে কীর্তনখোলা নদীতে স্পিডবোট ও বাল্কহেডের সংঘর্ষের এ দুর্ঘটনা ঘটে। সংঘর্ষের দিনই জালিস মাহমুদ (৫০) নামে এক যাত্রীর লাশ উদ্ধার করা হয়। এরপর তিন দিনের উদ্ধার অভিযানে আরও তিনটি মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়। এদের মধ্যে স্পিডবোট চালক আল আমিন (২৩), যাত্রী মো. ইমরান হোসেন ইমন (২৯), এবং মো. রাসেল আমিন (২৪) ছিলেন।
এ ঘটনায় মোট পাঁচজনের মৃত্যুর মধ্য দিয়ে অভিযান শেষ হয়েছে বলে জানিয়েছেন নৌ-পুলিশ। দুর্ঘটনার কারণ খতিয়ে দেখা হচ্ছে, এবং ভবিষ্যতে এমন দুর্ঘটনা রোধে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদারের আশ্বাস দেওয়া হয়েছে।
“মো: তুহিন হোসেন,
স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, চন্দ্রদ্বীপ নিউজ ২৪ ডট কম”