বরিশালের কীর্তনখোলা নদীতে বাল্কহেডের সঙ্গে সংঘর্ষে একটি যাত্রীবাহী স্পিডবোট ডুবে যাওয়ার ঘটনায় তিনজন নিখোঁজ রয়েছেন। শুক্রবার সকাল থেকে তাঁদের খুঁজে পেতে নৌ পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা তল্লাশি চালালেও এখনো কোনো সন্ধান পাওয়া যায়নি। নিখোঁজদের মধ্যে দুজন যাত্রী এবং একজন স্পিডবোট চালক।
নিখোঁজ ব্যক্তিরা হলেন,বরিশালের বিমান বন্দর থানার রহমতপুর এলাকার সজল দাস (৩০), পটুয়াখালীর কলাপাড়া উপজেলার রাসেল আমিন (২৫), এবং স্পিডবোট চালক আল আমিন (২২)। সজল দাস ভোলায় ব্র্যাকের যক্ষ্মা নিয়ন্ত্রণ কর্মসূচিতে চাকরি করতেন বলে নিশ্চিত করেছেন তাঁর বন্ধু তানভীর আহমেদ। তবে রাসেল আমিনের বিস্তারিত পরিচয় এখনো জানা যায়নি।
গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেলে বরিশালের জনতার হাট খেয়াঘাট এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। এতে ঘটনাস্থলেই একজন যাত্রী নিহত হন এবং একজন পুলিশ সদস্য গুরুতর আহত হন। মারা যাওয়া ব্যক্তির নাম জালিস মাহমুদ (৫০)। তিনি স্কয়ার ফুড অ্যান্ড বেভারেজ কোম্পানির বিক্রয় প্রতিনিধি হিসেবে কর্মরত ছিলেন। আহত পুলিশ সদস্য মানসুর আহমেদ (৩০) বরিশালের শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, দুর্ঘটনার সময় স্পিডবোটটি বেপরোয়া গতিতে চলছিল এবং চালক যাত্রীদের কাছ থেকে ভাড়া সংগ্রহ করছিলেন। এতে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে স্পিডবোটটি একটি বাল্কহেডের সঙ্গে সংঘর্ষে পড়ে। স্থানীয়রা ঘটনাস্থল থেকে আটজন যাত্রীকে উদ্ধার করেন।
নিখোঁজদের খুঁজতে শুক্রবার দিনভর নৌ পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা অভিযান চালান। তবে বিকেল পর্যন্ত তাঁদের সন্ধান মেলেনি। ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের বরিশাল কার্যালয়ের উপসহকারী পরিচালক মো. বেলাল উদ্দিন জানান, “নদীর উপরের অংশ ও তলদেশে তল্লাশি চালিয়েও কোনো অগ্রগতি হয়নি। তবে উদ্ধার অভিযান অব্যাহত রয়েছে।”
ভোলার ভেদুরিয়া ঘাট থেকে ১০ জন যাত্রী নিয়ে বরিশালের ডিসি ঘাটের উদ্দেশ্যে রওনা দেওয়া স্পিডবোটটি লাহারহাট খাল থেকে কীর্তনখোলা নদীতে প্রবেশের সময় এ দুর্ঘটনার শিকার হয়।
মো: তুহিন হোসেন,
স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, চন্দ্রদ্বীপ নিউজ ২৪ ডট কম